শিরোনাম
◈ ফরিদপুরে বাস-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১২  ◈ ইরানের হামলার জবাব দেবে ইসরায়েল: সেনাপ্রধান ◈ সৌদিতে কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা ◈ শ্রম আইন লঙ্ঘনের সাজাপ্রাপ্ত মামলায় স্থায়ী জামিন চাইবেন ড. ইউনূস ◈ ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরছে কর্মজীবী মানুষ ◈ স্বাস্থ্যখাতে নতুন অশনি সংকেত অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স: স্বাস্থ্যমন্ত্রী  ◈ কৃষি খাতে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে তিন  বছরে সাড়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ◈ বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.১ শতাংশ: এডিবি ◈ বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে বিজিপির ১৪ সদস্য ◈ ৬০ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলার তালিকা প্রকাশ করুন: মির্জা ফখরুলকে ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত : ১২ এপ্রিল, ২০১৯, ০৩:৪০ রাত
আপডেট : ১২ এপ্রিল, ২০১৯, ০৩:৪০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শেষ ঘুমে নুসরাত : কোন ঘুমে আচ্ছন্ন হতভাগা বাংলাদেশ!

ডা. জাকির হোসেন : বেশ ঝড় বয়ে যাচ্ছে স্যোশাল মিডিয়ায়। কিছু বুদ্ধি-বিবেকহীন বেয়াকুফের দল শোকে কাতর। বাকহীন রুদ্ধ কণ্ঠে কালো কালির কালিমায় ট্রোল দিয়ে সয়লাব করে দিচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাদা পাত্।া প্রিন্ট মিডিয়ার ছাপানো দগ্ধ দেহের এক ফুটফুটে ছোট নুসরাতের ঘুমিয়ে যাওয়ার দৃশ্য শেয়ার করতে ভুল করছে না কিছু সংখ্যক সরব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী। বুকে কালো ব্যাজ ধারণ করে হাতে হাতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে রাজপথে কিছুদিন দেখা যাবে মৌন মিছিল।

ইলেকট্রনিক মিডিয়ার টকশোগুলোতে সুইচ অন করলেই খুব তেজোদীপ্ত কণ্ঠে শোনা যাবে কিছু প্রগতিশীল লোকদের মানবাধিকারের আস্ফালন। এই মর্মান্তিক নৃশংস ঘটনা নিয়ে কিছুদিন রাজনীতির মাঠে বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়ে ফায়দা লুটবে বেহায়া কিছু রাজনৈতিক নেতাকর্মী। কিংবা ঘুম থেকে জেগে চায়ের টেবিলে পত্রিকার শিরোনামে দেখতে পাবো সর্বোচ্চ আদালতের স্বপ্রণোদিত একটি রুল। বেশ প্রতিবাদী বাঙালি জাতি, এমন শিরোনাম দেখা যাবে বিশ্বের সকল ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায়। হ্যাঁ, নাটকের সংলাপ কিংবা মঞ্চায়ন এখানেই শেষ। আস্তে আস্তে সরব রাজ পথগুলো নীরব হতে থাকবে। প্রতিবাদী কণ্ঠস্বরগুলো নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাবে। মিডিয়াগুলো অন্য আরেকটি নুসরাতের খবর প্রকাশের জন্য চাতক পাখির মতো ব্যাকুল হয়ে থাকবে। হাজারো মামলার ভিড়ে চাপা পড়ে যাবে দগ্ধ নুসরাতের মামলার নথি।

হ্যাঁ লিখছিলাম খুব ভারাক্রান্ত হৃদয়ে। লিখছিলাম ফেনীর অভাগিনী নুসরাতকে নিয়ে। হ্যাঁ, লিখছিলাম ফেনীর সোনাগাজীতে পরীক্ষা কেন্দ্রে আলীম পরীক্ষার্থী ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে হত্যা করার আধুনিক সভ্যতার আধুনিক পৈশাচিক ঘটনা নিয়্।ে দিনের আলোতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভেতরে একজন ছাত্রীকে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়ার দৃশ্য পৃথিবীর অতীব আদি সভ্যতার ববরর্তাকে হার মানায়। আজকের বাংলাদেশ রক্তে কেনা প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমি।

এই মা ও মাটির সঙ্গে মিশে রয়েছে শেরে বাংলা একে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান থেকে শুরু করে নাম না জানা আরো লাখো প্রাণ শহীদদের আত্মা। অন্যায়ের প্রতিবাদ করেই এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। এই প্রতিবাদের শিক্ষায় দীক্ষিত করে গেছেন আমাদের প্রাণপ্রিয় দেশপ্রেমে ব্রত শহীদ নেতাকর্মীরা। আজকে সোনা ফলা বাংলাদেশের এই বিকৃত চেহারাটা ক’জন শহীদ দেখতে পারছে? নিশ্চয় কেউ নয়। বেঁচে থাকলে তাদের সবাই আজকের বাংলাদেশের এই নৃশংস চেহরাটা কখনই দেখতে চাইতেন না। বাঙালি জেগে উঠেছিলো ইয়াসমিন ধর্ষণ ও হত্যাকা-ের সময়। জেগে উঠেছিলো খুকুমণি হত্যাকা-ের সময়। আরেকবার প্রতিবাদে সরব হয়ে উঠুক হতভাগিনী নুসরাত হত্যাকা-ে।
লেখক : চিকিৎসক ও কলামিস্ট

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়