আকতার বানু আল্পনা : সত্যি বলছি, নুসরাত রাফি মেয়েটা মরেছে জেনে আমি খুশি! কেন? শুনুন তবে। মেয়েটা বেঁচে থাকলে... ১. তার চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে মেটাতে তার পরিবার নিঃস্ব হয়ে যেতো। ২. সেই হারামিটা এবং তার সাঙ্গপাঙ্গদের হুমকি-ধমকি সহ্য করে মামলা চালাতে তার ও তার পরিবারের নাভিশ্বাস উঠতো। ৩. শরীরের অতো বিশাল অংশ পুড়ে গেলে কী ভীষণ যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়, সেটা ভুক্তভোগী ছাড়া কেউ জানে না। হতভাগী মাত্র পাঁচ দিনের নরকযন্ত্রণা সহ্য করেই মুক্তি পেয়েছে। বেঁচে থাকলে আরো যে কতো...
৪. হারামিটার মুক্তির দাবিতে হওয়া মিছিলটার খবর কী মেয়েটা পেয়েছিলো? খবরটা শুনে আমারই ঘৃণায় গা রি রি করছে। সেখানে ওর কেমন লাগার কথা? বেঁচে থাকলে এ রকম আরও অনেক কিছু দেখে দুঃসহ কষ্ট পেতে হতো। এখন আর পেতে হবে না। ৫. বেঁচে থাকলেও তার বিকৃত শরীরটা দেখে রাতদিন সে যে কতো মানসিক কষ্ট পেতো, তার হিসাব করা সম্ভব নয়। তা থেকেও বেঁচে গেছে।
৬. তাকে কী কেউ বিয়ে করতো? আর দশটা মেয়ের মতো সে কী জীবনে কোনো সুখ-শান্তি পেতো? পেতো না। পাওয়া সম্ভব নয়। আমাদের সমাজ সেটা হতে দিতো না। এ সমাজের হায়েনাদের নখের আঁচড়ে রোজ নিষ্পাপ ছোট ছোট অবুঝ শিশুরা ক্ষতবিক্ষত হয়। সেখানে নুসরাত তো বিরাট পাপী! সে প্রতিবাদ করেছিলো। তাকে সমাজ কেন ভালো থাকতে দেবে?
তার চেয়ে এই ভালো। এই নরকপুরী থেকে চলে গিয়ে সে বেঁচেছে। এখন মৃত্যুর পরের পরিবেশটা রাফির জন্য সুখের হলেই হয়। দোয়া করি, পরপারে ভালো থেকো। যারা তোমার এই করুণ পরিণতির জন্য দায়ী তাদের কোনোদিন ক্ষমা করো না। দুনিয়ায় প্রভাব খাটিয়ে তারা যদি পার পেয়েও যায়, পরপারে যেন তাদের ন্যায্য শাস্তি হয়... তোমার হয়ে আমি এ দোয়া করে যাবো। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :