নূর মাজিদ : ২০১৮-১৯ অর্থবছরের এপ্রিল-ফেব্রুয়ারি মেয়াদের ১২ মাসে এমন নেতিবাচক অবস্থা দেখা গেছে। যা আগের অর্থবছরের তুলনায় বাসমতি ও সাধারণ চালের রপ্তানি গড়ের চাইতে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ কম। এর আগের বছর ভারত ১ কোটি ৫৭ লাখ টন চাল রপ্তানি করে। যার শীর্ষ ক্রেতা ছিলো বাংলাদেশ।
তবে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে অনুকূল আবহাওয়া এবং স্থানীয়ভাবে ফসলের বা¤পার ফলন বাংলাদেশের তরফ থেকে চাল আমদানি কমিয়ে আনে, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে ভারতের চাল রপ্তানির উপর। চলতি সপ্তাহে ভারতের সরকারি একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে।
২০১৮-১৯ সালের এপ্রিল-ফেব্রুয়ারি মেয়াদে ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার টন বাসমতি চাল রপ্তানি করে ভারত। যা ২০১৭-১৮ সালের রপ্তানির তুলনায় ৬ দশমিক ২ শতাংশ কম। সেবছর ৩৬ লাখ ২০ হাজার টন বাসমতি চাল রপ্তানি করেছে দেশটি। যদিও, এই সময় পণ্যটির বাজারমূল্য বাড়ার কারণে এখানে খুব একটা লোকসান হয়নি।
টাকার অংকে বরং বেড়েছে বাসমতি চালের রপ্তানি আয়। বিগত অর্থবছরের তুলনায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে যার পরিমাণ ছিলো ১ দশমিক ১২ শতাংশ। এই বছর মোট ৪১০ কোটি ডলার পণ্যটি রপ্তানি করা হয়েছে। ২০১৭-১৮ সালে যার পরিমাণ ছিলো ৩৬৯ কোটি ডলার। বিশেষ করে, চীনের বাজারে রপ্তানি বাড়ায় এই বাড়তি মূল্য পায় ভারত।
তবে বাসমতি ছাড়া সাধারণ চালের রপ্তানি কমেছে ব্যাপকভাবে। এপ্রিল-ফেব্রুয়ারি মেয়াদে ৬৭ লাখ টন সাধারণ মানের চাল রপ্তানি করেছে ভারত। যার বাজারমূল্য ২৬৭ কোটি ডলার। তবে বিগত অর্থবছরের তুলনায় তা ১৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ কম। ২০১৭-১৮ এর একই মেয়াদে ৩৩১ কোটি ডলারে ৮০ লাখ টন সাধারণ মানের চাল রপ্তানি করেছে দেশটি।
কমোডিটি অনলাইন
আপনার মতামত লিখুন :