নাঈম কামাল : গত বছর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর জন্য রহিমুল্লাহ তার চাষকৃত কুল শাইখ সিরাজের মাধ্যমে পাঠান। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে বঙ্গভবনে এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি শাইখ সিরাজের হাতে রহিমুল্লাহকে লেখা একটি চিঠি দেন। কক্সবাজারে এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবার সামনে জুনাইদ আহমেদ পলক চিঠিটি পাঠ করেন।
রাষ্ট্রপতির লেখা চিঠি রহিমুল্লাহকে হস্তান্তর করার জন্য ডাকা হলে তিনি কাঁদতে কাঁদতে মঞ্চে আসেন। কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমি মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে সর্বপ্রথম সালাম জানাই। আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে, কক্সবাজার জেলাবাসী এবং সংগ্রামী কৃষক ভাইদের পক্ষ থেকে তাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। মাননীয় রাষ্ট্রপতি আপনাকে ধন্যবাদ।
রাষ্ট্রপতি রহিমুল্লাহকে যে চিঠি দিয়েছেন তাতে লেখেন, প্রিয় রহিমুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম। শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে আপনার বাগানের বাউকুল প্রেরণের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। আপনি একজন কর্মবীর মানুষ। চ্যানেল আইয়ে জনাব শাইখ সিরাজের উপস্থাপনায় “হৃদয়ে মাটি ও মানুষ” অনুষ্ঠান আপনাকে বাউকুল চাষে উদ্বুদ্ধ করেছে জেনে আমি খুশি হয়েছি। প্রায় শূন্য থেকে শুরু করে আপনি আজ বিশাল বাউকুল বাগানের মালিক হয়েছেন, অর্থনৈতিকভাবে হয়েছেন স্বাবলম্বী। আমার বিশ্বাস আপনার সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশের কৃষক ও সাধারণ মানুষ কৃষিপণ্য, ফল ও ফসল উৎপাদনে উৎসাহিত হবেন এবং নিজেদের পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন।
রাষ্ট্রপতি আরো লিখেছেন, জনাব শাইখ সিরাজের কৃষিবিষয়ক অনুষ্ঠান ইতোমধ্যে দেশের কৃষক ও সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগাতে সক্ষম হয়েছে এবং কৃষি উৎপাদনে ইতিবাচক অবদান রাখছে। আমি আশা করি বাংলাদেশের কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে তিনি ভবিষ্যতেও তার উদ্ভাবনীমূলক উদ্যোগ অব্যাহত রাখবেন।
আমি নিজেও একজন কৃষকের সন্তান। তাই কৃষকের দুঃখ-কষ্ট, আনন্দ-বেদনা ঠিকই অনুভব করতে পারি। বর্তমান সরকার প্রতিটি “গ্রামকে শহরে পরিণত করা’র যে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, আমার বিশ্বাস শিগগিরই আপনারা তার সুফল পাবেন। গ্রামের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি আমাদের সামগ্রিক জীবনযাত্রায় এ কর্মসূচি নতুন মাত্রা যোগ করবে। আমি আপনার ও আপনার পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ুও অব্যাহত সাফল্য কামনা করছি। মহান আল্লাহ আমাদের সহায় হোন। সূত্র: চ্যানেল আই
আপনার মতামত লিখুন :