সাজিয়া আক্তার: আবহাওয়ার সতর্ক সংকেত সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা উপকূলে দুর্যোগের সময় ক্ষতির পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে। আবার নদী ও সমুদ্র বন্দরকেন্দ্রিক দ্বিমুখী সংকেত দেয়াতেও বিভ্রান্তি বাড়ে উপকূলবাসীর। আর পতাকা উড়িয়ে সংকেত প্রদর্শনে পরিবর্তন আনায় নতুন করে সবমহলে প্রশিক্ষণের তাগিদ দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। অবশ্য প্রশাসন বলছে, সরকারি ও বেসরকারি নানামুখী কার্যক্রম চলছে সচেতনতা বাড়াতে। সূত্র: সময় টিভি
দেশের দুর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ জেলা তালিকায় অন্যতম বরগুনা। শহর কিংবা গ্রাম এখানকার শতকরা ৯৯ শতাংশ মানুষেরই ধারণা নেই আবহাওয়ার সতর্ক সংকেত প্রদর্শনে কখন কতটি পতাকা উত্তোলন করা হয়।
এদিকে পতাকা প্রদর্শন করে উপকূলবাসীকে সতর্ক করতে আবহাওয়ার সতর্ক সংকেতে এ বছর আনা হয়েছে পরিবর্তন। আগে যেখানে সমুদ্রে ঝড় সৃষ্টির আশংকা দেখা দিলেই একটি পতাকা উড়িয়ে ১ নম্বর সংকেত বুঝানো হতো এখন সেখানে ঝড় সৃষ্টি হয়ে তা বন্দরের সম্মুখীন হওয়ার আশংকা দেখা দিলে একটি পতাকা উড়িয়ে ৪ নম্বর সংকেত বুঝানো হয় । আবার ৩ নম্বর সংকেতেই আগে দুটি পতাকা উঠতো আর এখন ৫ থেকে ৭ নম্বর সংকেতে উঠবে ২ টি পতাকা। আর ৭ নম্বরে নয় এখন ৩টি পতাকা উঠবে ৮ থেকে ১০ নম্বর সংকেতে।
এদিকে সমুদ্র বন্দরে ১১টি ও নদী বন্দরে ৪ টি সংকেতের মাধ্যমে আবহাওয়ার সতর্ক বার্তা দেয়াতেও বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে বলে দাবি সংশিষ্টদের। তাদের মতে উপকূলে এখনও দরকার সবমহলের প্রশিক্ষণ।
অবশ্য আবহাওয়ার সতর্ক সংকেত বুঝানোর চেয়েও দুর্গম এলাকাগুলোতে পৌঁছানো জরুরি বলে বনে করছে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক কবির মাহমুদ বলেন, সচেতনতা এবং তথ্য জানানোর কাজ সরকারি পক্ষ থেকে যেমন আছে এনজিওর পক্ষ থেকেও আছে।
দেশে বর্তমানে ৩৫টি আবহাওয়া ষ্টেশন থাকলেও, দুর্যোগ ঝূঁকিপূর্ণ জেলা বরগুনায় কোন আবহাওয়া ষ্টেশন নেই।
আপনার মতামত লিখুন :