মো. আল-আমিন : মতিন ওরফে মইত্তা ডাকাতের দলে রয়েছে ৫০ সদস্য। গত ২০ বছরে মইত্তা ডাকাত শতাধিক বাড়ীতে অস্ত্রের মুখে ডাকাতি করেছে। ডেইলি স্টার
মইত্তা ডাকাতের একটা বিশেষত্ব হলো, তার সহযোগী ডাকাতরা ডাকাতি শেষে যে মালামাল জমা দেয় তার সঙ্গে পত্রিকার রির্পোটের মিল পাওয়া না গেলে সে ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে। সহযোগী ডাকাতদের এক্ষেত্রে গুলি করতেও সে দ্বিধা করে না। অন্ততঃ একটি ঘটনায় সে সহযোগী ডাকাত রমজানকে গুলি করে মেরেছে।
পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট বুধবার মইত্তা ডাকাতকে (৪৮) গ্রেফতার করে। এ সময় টিটু (৪৫) ও আরমান (৪২) ডাকাত তার সাথে ধরা পড়েছে।
মইত্তা ডাকাতের দলটি রোববারে ডাকাতি করাকে যুৎসই মনে করে। কেননা অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো হয় টাকা তোলে অথবা ব্যাংকে টাকা জমা করে।
সিটিটিসি’র অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার জাহাঙ্গীর আলম জানান, সায়েদাবাদ এলাকায় অস্ত্রসহ ১০ জনের অবস্থানের কথা জানতে পেরে তারা অভিযান চালান। তাদের কাছ থেকে অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, মইত্তা ডাকাতের বিরুদ্ধে ১৮টি, সাইফুলের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা এবং আরমানের বিরুদ্ধে ২৪টি মামলা রয়েছে।
সিটিটিসির এক পদস্থ কর্মকর্তা জানান, ১৯৯৯ সাল থেকে মইত্তা ডাকাতি করে আসছে। জুরাইন, শ্যামপুর, যাত্রাবাড়ি এলাকায় তারা বেশীর ভাগ ডাকাতি করে।
২০০৪ সালে র্যাব ব্যাপক অভিযান চালালে মইত্তার সহযোগী বসকা কবীর, সানাওল্লাহ, ট্যাপা ও আমির বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়। অতঃপর মইত্তা ডাকাত সৌদি চলে যায়। সেখানে ৮ বছর কাটিয়ে সে দেশে ফিরে নারায়নগঞ্জে ব্যবসা শুরু করে। নারায়নগঞ্জের এক শ্রমিক নেতা তাদের গডফাদার বলে পুলিশ জানান।
আপনার মতামত লিখুন :