সাজিয়া আক্তার, নাঈম কামাল : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রোববারের গণ অনশনে সমস্বরে অনেকেই বলেন, প্যারোলে তার মুক্তি চাইনা। আমরা খালেদা জিয়ার নিঃর্শত মুক্তি চাই। আইনের আওতায় অথবা হরতাল আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনব।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সম্প্রতি বলেন, সুনির্দিষ্ট কারণ দেখিয়ে আবেদন করলে খালেদা জিয়াকে প্যারোলে মুক্তি দেয়া যেতে পারে। আর এই বক্ত্যব্য বিএনপিসহ সারা দেশে ব্যাপক আলোড়ন শুরু হয়। এদিকে বিএনপির গণঅনশন থেকে নতুন কোন কর্মসূচি দেয়া না হলেও অধিকাংশই প্যারোলে মুক্তির বিরোধিতা করেন। বিবিসি প্রশ্ন তুলেছে প্যারোলে বিরোধিতায় প্যারোলেপন্থীরা কি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন?
বিএনপির মহাসচিব মির্জা আলমগীর বলেন, আমরা প্যারোলে মুক্তি চাই না।নানা আলোচনা চলছে বটে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রসঙ্গটি চাউর করেছেন। বিএনপির কোন পর্যায়ে প্যারোলে নিয়ে কোন আলোচনা হয়নি। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অনেকগুলো মামলা। দুটি মামালায় তার যথাক্রমে ৭ ও ১০ বছর সাজা হয়েছে। কিন্তু মামলায় তার কোন জামিন হচ্ছে না। অনেকের ধারণা ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সবুজ সংকেত পেলেই তার জামিন হবে। এমন কথাও বলছেন অনেকে। বেগম জিয়া প্যারোলে মুক্তি পেলে দলের সাংসদরা সংসদে যেতে পারেন।
গণঅনশনে উপস্থিত বিএনপির এক নারী নেত্রী বলেন, আমরা দুর্বল নই। আন্দোলন করে নেত্রীকে ছাড়িযে আনবো। হরতাল করবো, অবরোধ করবো। মির্জা আলমগীর বলেন, আমাদের অনেক অধিকার সরকার ছিনিেিয় নিয়েছে। আমরা বঞ্চিত। সে অধিকার আমাদের ফিরিয়ে আনতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :