স্বপন দেব : সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে মৌলভীবাজার-শমশেরনগর-চাতলাপুর চেকপোস্ট সড়কের উন্নয়ন কাজ গত বছরের শেষ দিকে একনেক এর বৈঠকে চুড়ান্ত অনুমোদন পেলে এখন পর্যন্ত এই রাস্তাটির টেন্ডার হয়নি। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ, কুলাউড়া, মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মানুষের চলাচলের এ একটি জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ মৌলভীবাজার জেলা সদরের সাথে যোগাযোগ করে চলছে। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত রাস্তাটি সংস্কার না করায় যান চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়ছে। কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর থেকে জেলা সদরের ২০ কিলোমিটার সড়কের অধিকাংশই খানাখন্দে ভরপুর।
সরেজমিন এ সড়ক দিয়ে মৌলভীবাজার যাতায়াতের সময় দেখো যায়, এ সড়কের প্রায় দুই শতাধিক স্থানে পিচ উঠে ছোট-বড় অনেক গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। গর্তে ভরা এ সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল এখন অনুপুযোগি হয়ে পড়ছে। এ চিত্র চোখে পড়ে। চাতলাপুর চেকপোস্ট দিয়ে অনেক পর্যটক এ রাস্তা ব্যবহার করে ভারতে যেতে হয়। চাতলাপুর চেকপোস্ট ও শমশেরনগর থেকে মৌলভীবাজার জেলা সদরে যাতায়াত ও মালামাল পরিবহনে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি বর্তমানে যান চলাচলের ক্ষেত্রে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। মৌলভীবাজার জেলা সদরের সাথে যোগাযোগের চার উপজেলার ১৫/১৬ ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষ জেলায় যাতায়াত করছে। গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি বেহাল দশায় পরিণত হওয়ায় কয়েক লক্ষাধিক মানুষ পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভেগ।
শমশেরনগর-মৌলভীবাজার সড়কে চলাচলকারী যাত্রী পোণ্ট্রি ব্যবসায়ী জাহেদুল হক, নুরুল মোহাইমীন, জয়নাল আবেদীন জানান, এই সড়কটির পিচ উঠে বড় বড় খানা-খন্দে রূপ নিয়েছে। সিএনজি অটোরিক্সায় চলাচল করলে শরীরে প্রচন্ড ব্যাথা লাগে। বিশেষ করে রোগী ও গর্ভবর্তী মহিলাদের জন্য এই রাস্তাটি ব্যবহার করা অধিক ঝঁকিপূর্ণ। সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা না হলে জনসাধারণের চলাচল অনুপুযোগী হয়ে পড়বে। তাই সড়কটি সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ বিভাগ, মৌলভীবাজার এর নির্বাহী প্রকৌশলী শরিফুল আলম জানান, আমি কিছুদিন পূর্বে এ জেলায় যোগদান করেছি। যোগদান করেই রাস্তাটি পরিদর্শন করেছি। অতিসম্প্রতি ঢাকা থেকে উচ্চ পর্যায়ের একটি টিম এসে রাস্তাটি সার্ভে করে গেছে। এই রাস্তাটি একবার টেন্ডার হয়েছিল। কিন্তু বিগত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে আবার নতুন ভাবে ইস্টিমিট করা হবে। তবে তিনি আশাবাদী দ্রুত টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
আপনার মতামত লিখুন :