শিরোনাম
◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের

প্রকাশিত : ০৩ এপ্রিল, ২০১৯, ০৫:২১ সকাল
আপডেট : ০৩ এপ্রিল, ২০১৯, ০৫:২১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যেখানে নিজ অর্থায়নে পদ্মা সেতু সেখানে উন্নতবিশ্বের মত ফায়ার সার্ভিস নয় কেন?

শিমুল রহমান : মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, যেখানে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু তৈরি করতে পারি সেখানে উন্নতবিশ্বের মত আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার আমাদের দেশে নেই কেন? উন্নত দেশগুলোতে আগুন নেভাতে ও মানুষ উদ্ধারে কতো আধুনিক সরঞ্জাম ও ব্যবস্থাপনা দেখতে পাওয়া যায়...

অতি শীঘ্রই এসব সমস্যা সমাধান করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে এমন আবেগী একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন রাজধানীর বনানীর বহুতল ভবন এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে নিহত আনজির সিদ্দিক আবীরের চাচা মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তা।

তিনি আরও বলেন, আমরা অনুদান বা ভিক্ষা চাই না, এমন কি সরকারের সাথে যোগাযোগও করতে চাই না। শুধু বিশেষ মহলের কাছে একটাই দাবি আর যেন কোন বাবা মায়ের সন্তান আগুনে পুড়ে মারা না যায়!

রাজধানীর বনানীর এফ আর টাওয়ারে অগ্নিনির্বাপণের নিজস্ব কোনও ব্যবস্থা ছিল না বলে জানিয়ে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড প্ল্যানিং) সিদ্দিক মো. জুলফিকার আহমেদ বলেন, "২২-তলা এই বিল্ডিংয়ে ফায়ার ফাইটিংয়ের নিজস্ব কোনও ক্যাপাসিটি নেই। বিল্ডিংগুলোতে যতদিন পর্যন্ত আগুন নির্বাপণের নিজস্ব সক্ষমতা না থাকবে, ততদিন এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতেই থাকবে। ভবন তৈরির সময় ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড না মেনে তৈরি করা হয়। যে কারণে এমন দুর্ঘটনা ঘটছে।"

পরিবার সূত্রে জানা যায়, অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাতের সময় আবীর ওয়াশ রুমে ছিলেন। ওই মুহূর্তে আবীরসহ অফিসে ছিলেন ২০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। আগুন লাগার খবর শুনেই ১৯ জনই তৎক্ষণাৎ কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসেন। এ দিকে আবীর ওয়াশ রুশ থেকে বের হয়ে কাউকে দেখতে না পেয়ে হন্তদন্ত হয়ে পড়েন। সহকর্মী একজনকে মুঠোফোনে কল দিয়ে জানতে পারেন, ভবনে আগুন লেগেছে, তারা সবাই ভবন থেকে বেরিয়ে এসেছেন। এ সময় আবীর আর্তচিৎকার করে বাঁচার আকুতি জানান। এর কিছুক্ষণ পর থেকে আবীরের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। শেষ পর্যন্ত উদ্ধারকর্মীরা আবীরে লাশ উদ্ধার করে ১৩ তলা থেকে।

নিহত আবীর মিকা সিকিউরিটিস লিমিডেট কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। তিনি লালমনিরহাটের পাটগ্রাম পৌর শহরের আবু বকর সিদ্দিক বাচ্ছু মিয়ার ছেলে। তার মা তামান্না প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছোট।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১২টা ৫২ মিনিটে ২১-তলা বনানীর এফ আর টাওয়ারের নয়তলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে অগ্নি দুর্ঘটনা রোধে এবং দুর্ঘটনার পর ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে অন্তত ১৫ দফা অনুশাসন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (০১ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে তিনি এসব অনুশাসন দেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়