লিহান লিমা: ইউরোপিয় ইউনিয়ন থেকে সদস্য দেশের বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া ‘অনুচ্ছেদ-৫০’ বাতিল চেয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ওয়েবসাইটে দায়ের করার পিটিশনে স্বাক্ষরের সংখ্যা ৬০ লাখ ছাড়িয়েছে। সোমবার পিটিশনের দাবি নিয়ে পার্লামেন্টে বিতর্ক করবেন এমপিরা। গার্ডিয়ান
গত রোববারই এই পিটিশনের স্বাক্ষরের পরিমাণ ৫০ লাখ ছাড়িয়েছিলো। যা এই পর্যন্ত ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ওয়েবসাইটে সবচেয়ে জনপ্রিয় পিটিশন। এর আগে ২০১৬ সালে দ্বিতীয় গণভোটের দাবিতে তোলা পিটিশনে স্বাক্ষরের পরিমাণ ছিলো ৪১ লাখ ৫০ হাজার ২৬০।
পিটিশন উত্থাপন করা মার্গারেট জিওরগিয়াদো বলেছেন, তাকে কয়েকবার হত্যার হুমকি দেয় হয়েছে। তিনি আরো বলেছেন, হয়রানি ও উপর্যুপরি হুমকির কারণে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।
এরআগে ২৬ মার্চ সরকার এই পিটিশনের উত্তরে জানায়, অনুচ্ছেদ ৫০ রদ করা হবে না। সরকারী বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা ২০১৬ সালের গণভোটকে সম্মান করি ও এটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইউরোপিয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া নিশ্চিতে পার্লামেন্টে কাজ করে যাবো।
যদিও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র ব্রেক্সিট প্রস্তাব এই পর্যন্ত তৃতীয়বারের মতো পার্লামেন্টে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। ডিইউপি’র ডেপুটি লিডার নাইজেল দোদোস বলেছেন, তিনি থেরেসার ব্রেক্সিট চুক্তিতে ভোট দেয়ার চাইতে ইইউ’র সঙ্গে ইউকে’র থাকাটাই ভালো মনে করেন। ১০ এপ্রিল ইউরোপিয় কাউন্সিলের জরুরি সম্মেলনে যোগ দিতে ব্রাসেলস যাওয়ার কথা রয়েছে থেরেসার। ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে ইইউ’র ২৭টি দেশের নেতারা হয় তাকে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত করার কথা বলবেন, নয়তো ১২ এপ্রিল অর্থাৎ দুই দিনের মধ্যেই চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট বেছে নিতে বলবেন।
এদিকে বিপুল পরিমাণ স্বাক্ষর জমা পড়া ব্রেক্সিট বাতিলের এই পিটিশন নিয়েও তৈরি হয়েছে ষড়যন্ত্রতত্ত্ব। একপক্ষ বলছেন, পিটিশনে স্বাক্ষর যাতে আর না বাড়ে সে জন্য সাইটে ক্র্যাশ করা হয়েছে। আরেকপক্ষের দাবি, বিদেশ থেকে আইপি অ্যাড্রেস ব্যবহার করে স্বাক্ষর বাড়ানো হচ্ছে। যদিও ৯৬শতাংশ স্বাক্ষরই ব্রিটেন থেকে সংগৃহীত।
আপনার মতামত লিখুন :