ইউএইচ জিসান
ক্রাইম রিপোর্টিংয়ে কতশত গলাকাটা লাশ দেখেছি, কতো পচাগলা লাশ দেখেছি, নদীতে ভেসে ওঠা লাশ দেখেছি, রানা প্লাজা, চুরিহাট্টা, মাওয়া ঘাটে লঞ্চ ডুবির লাশ দেখেছি, তবুও শক্ত থেকে রিপোর্ট করেছি। ঘুমাতে ততোটা কষ্ট হয়নি। কিন্তু বনানীর আগুনের ঘটনা কাভার করার পর আর কিছুতেই ঘুমাতে পারছি না। ঘুম আসলেও বাঁচাও, বাঁচাও চিৎকার আর লাশ নামানোর দৃশ্য দেখছি। ভেঙে যায় ঘুম আর লাফ দিয়ে উঠেও নিজেকে সামাল দিতে পারছি না। মনে হয় আমার জীবনটাও বের হয়ে যাবে। সবশেষ ২৮ মার্চের আগুনের ঘটনায় নিহত দম্পতি মাকসুদুর ও রুমকির বাসায় গিয়ে স্বজনদের আহাজারি যেন নিজের মধ্যেও গগনবিদারী হাহাকার তৈরি করে। রাতে ঘুমাতে পারিনি। ফজরের নামাজ শেষে শুয়ে ছিলাম। ভোরবেলা আবারও ৩০ মার্চ গুলশানে আগুনের খবর শুনে স্তব্ধ হয়ে গেলাম। আর নিতে পারছি না। কিন্তু এতে কি লাভ। হয়েছি তো ক্রাইম রিপোর্টার। এসব সহ্য করেই তো রিপোর্ট করাই আমার কাজ। আল্লাহ তুমি শক্তি দাও। আমিন। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :