মাসুদ আলম : মেহেরান এন্টারপ্রাইজের মালিক এরশাদ চৌধুরী ও তার মামা সাহাবুদ্দিন। ৮ বছর ধরে মামা-ভাগ্নিনা গুলশান ১ ডিএনসিসি কাঁচা ও সুপার মার্কেটের বিদেশি চকলেট ও বিস্কুটের ব্যবসা করেন। শনিবারের আগুনে তাদের ২০ লাখ টাকার মালামাল পুড়েছে। ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে একই মার্কেটে আগুন লেগেছিল। সেই আগুনে তাদের সবকিছু পুড়ে গিয়েছিল। তারপর ব্রাক ব্যাংক থেকে ১৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আবার ব্যবসা শুরু করেছিল।
এরশাদ চৌধুরী বলেন, ৩ ভাই, মা-বাবা, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে রামপুরা এলাকায় ভাড়া থাকেন। পরিবারের একমাত্র উপার্জকারী তিনি। দোকানে থাকা ২ লাখ টাকাও পুড়েছে। ঋণ ও পরিবার নিয়ে কি করে চলবে সেই সঙ্কা। পথে বসা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়।
মা এন্টারপ্রাইজের মালিক শহিদুল ইসলাম বলেন, তিনি ২৫ বছর ধরে কসমেটিকসের ব্যবসা করেন। ২০১৭ সালের আগুনে তার এক কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছিল। তারপর আত্মীয় জনের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা নিয়ে আবারও ব্যবসা শুরু করেন। ফের আগুনে তার ২৫ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। সবকিছু হারিয়ে এখন নি:স্ব তিনি। স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে আশকোনা এলাকায় থাকেন।
আরআর এন্টারপ্রাইজের মালিক রেজাউল করিম বলেন, ২০১৭ সালের আগুনে তার ৭৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছিল। পরে ব্যাংক থেকে ৩০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে ফের ব্যবসা শুরু করে। আগুনে তার ৪০ লাখ টাকার কসমেটিকস পুড়েছে। ঋণের টাকা পরিশোধের আগে সে নি:স্ব। এখন ভিক্ষা ছাড়া কোনো উপায় নেই।
ক্রোকারিজ ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেনের চারটি দোকান। উপার্জনের শেষ সম্বল হারিয়ে নির্বাক তিনি। আগুনে তার ৫০ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। ২০১৭ সালের আগুনে তার এক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছিল। এখন কিভাবে ঋণে টাকা দিবো।
রায়হান ট্রেডার্সের মালিক মোহাম্মদ রায়হান ও আরিফ হাসান নামে দুই ভাই। কফি, দুধ ও শিশুদের বিভিন্ন পণ্যের ব্যবসা করতেন তারা। আরিফ বলেন, আগুনের ২৫ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে এখন কিভাবে ঋণের টাকা দিবে এবং তাদের সংসার চলবে। তাদের মতো অধিকাংশ ব্যবসায়ীর একই অবস্থা ।
আপনার মতামত লিখুন :