স্বপ্না চক্রবর্তী : এই পল্লীর ৫০০ একর জমির মধ্যে ৪৪১ একর জমিই পোশাক মালিকরা ইজারা নিয়ে নিয়েছেন বলে জানিয়েছে বেজা কর্তৃপক্ষ। এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যে বেজাকে ১০০ কোটি টাকা দিয়েছে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
এ ব্যাপারে বিজিএমইএ সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এর মাধ্যমে দেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানিমুখী শিল্প খাতের জন্য পরিকল্পিত শিল্পনগর প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর আগে মুন্সিগঞ্জের বাউসিয়ায় গার্মেন্টস শিল্পপার্ক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ মাঝপথে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়লেও আশা করছি এই শিল্পাঞ্চলটি আলোর মুখ দেখবে।
বিজিএমইএ সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু শিল্পপার্কে জমি বরাদ্দের বিষয়ে বিজিএমইএর সঙ্গে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) চুক্তি হয় ২০১৮ সালের ২১ মার্চ। এরপর বিজিএমইএ সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে জমি বরাদ্দ দেওয়ার উদ্যোগ নেয়। ইতিমধ্যে ৭০টি কোম্পানি সেখানে জমি নেওয়ার জন্য টাকা জমা দিয়েছে। আরও ৬টি কোম্পানি জমি নেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করলেও টাকা এখনো জমা দেয়নি। বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, জমি বুঝিয়ে দিলেই আমরা কারখানার নির্মাণকাজ শুরু করব। সেখানে মূলত বড় ও মাঝারি উদ্যোক্তারা জমি নিয়েছে। এ শিল্পনগরীটি পোশাক শিল্পের বৈচিত্র্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি।
বেজা জানায়, বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর চট্টগ্রামের মিরসরাই, ফেনী ও সীতাকুন্ড ঘিরে গঠিত হচ্ছে। এর প্রস্তাবিত আকার ৩০ হাজার একর। এটি হবে দেশের সবচেয়ে বড় শিল্প এলাকা। এতে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেপজা) ১ হাজার ১৫০ একর, শিকদার গ্রুপ, বসুন্ধরা ও গ্যাসমিন মিলে এসবিজি ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের (পিপিপি) ভিত্তিতে ৫০০ একর, বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপ ৫০০ একর এবং পিএইচপি গ্রুপ পিএইচপি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক প্রতিষ্ঠার জন্য ৫০০ একর জমি নিয়েছে। অনেক দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান সেখানে কারখানা করার জন্য জমি নিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :