মনজুর এ অনিক: নারায়ণগঞ্জে মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় ৫ সন্তানের জননী আরজু বেগমকে (৪০) মারধর ও বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যার অভিযোগ মামলা হয়েছে।
নিহত আরজু বেগমের জামাতা সেলিম মিয়া বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।এতে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় অ্যাডভোকেট হামিদা ওরফে লিজা, তার বোন অ্যাডভোকেট আসমা, হোসনা ও সরবানু, রমজানসহ ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে শহরের টানবাজার র্যালীবাগান এলাকায় এ হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটে। নিহত আরজু বেগম ওই এলাকার আক্তার হোসেনের স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, র্যালী বাগান এলাকায় মাদক নির্মূলে মিছিল পর্যন্ত করেছিলেন করে আরজু বেগম ও তার লোকজন। ওই ঘটনার জের ধরে মাদক ব্যবসায়ী রমজান ও হামিদা গংরা প্রতিবাদকারীদের উপর হামলা চালায়।এ সময় আরজু বেগমকে প্রথমে এলোপাথারিভাবে কিল ঘুষি মেরে আহত করে। পরে গলায় বৈদ্যুতিক তার জড়িয়ে হত্যা করে তাকে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ দেখা দিলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। নিহত আরজু বেগমের মেয়ে লাকী বলেন, আমার মা দীর্ঘদিন যাবত এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে আসছিলেন। এতে অ্যাডভোকেট হামিদা আক্তার লিজা ও রমজানের লোকজনদের সাথে আমাদের শক্রুতা তৈরি হয়। আমার পুরো পরিবার তাদের কাছে শক্রুতে পরিণত হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি(তদন্ত) মিজানুর রহমান জানান, র্যালী বাগান এলাকার বাসিন্দা অ্যাডভোকেট হামিদা আক্তার লিজাকে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের যাতে জামিন না করিয়ে দেয় সেজন্য এলাকাবাসী দাবি জানান। ওইসময় লিজার ভাই বিল্লাল ও এক বোন মিলে ওই আরজু বেগমকে বৈদ্যুতিক তাঁর দিয়ে পেচিয়ে ফেলে। আরেকজন আরজু বেগমের শরীরে পানি ঢেলে দেয়। এতে করে বিদ্যুতের সট থেকে আরজু বেগম আহত হয়।
পরে তাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। এঘটনায় মামলা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :