সিরাজুল ইসলাম,সিংগাইর : সিংগাইর উপজেলার বলধারা ইউনিয়নের পারিল নওয়াধা গ্রামের এক যুবকের স্ত্রীকে আটকে রাখার অভিযোগে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। প্রাপ্ত বয়স্ক দু’জনই নিজেদের পছন্দমত বিয়ে করে এখন সমাজপতিদের রোষানলে পড়ে পৃথক পৃথকভাবে দিন যাপন করছে।
শনিবার সরেজমিনে জানা যায়, পারিল নওয়াধা গ্রামের রফিক আলীর পুত্র সজিব (২৫) পার্শ্ববর্তী জৈল্ল্যা গ্রামের প্রবাসী জবু মিয়ার কন্যা বিথী আক্তারকে (১৯) ভালবেসে শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ করে। বিয়ের পর থেকে তারা পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে অন্যত্র বসবাস করতে থাকে। গত বুধবার স্থানীয় কতিপয় লোকজন ওই দম্পতিকে একত্রে বসবাসের টোপ দিয়ে ভাষা শহীদ রফিক যাদুঘর প্রাঙ্গনে সালিসে বসে। মেয়ের বাবা প্রবাসে থাকায় বিষয়টি অমিমাংসিত রয়ে যায়। বিথীর স্থান হয় স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতার বাড়িতে।
এদিকে, গত শুক্রবার বিথীর বাবা বিদেশ থেকে দেশে ফিরে প্রভাবশালী ওই নেতার বাড়ি থেকে কোন রকম সুরাহা না করেই বিথীকে নিয়ে যায় । এতে ভেঙ্গে পড়ে বিথীর স্বামী সজিব। সজিবের অভিযোগ, সকল প্রকার আইন কানুন মেনে আমরা দু’জন ভালবেসে বিয়ে করেছি। আমার স্ত্রীকে মিমাংসার আশ্বাস দিয়ে আটক করে রাখা হয়েছে। দু’দিনের মধ্যে তাকে আমার কাছে ফিরিয়ে না দেয়া হলে আমি আইনের দ্বারস্থ হবো।
এদিকে বিথীর বাবা জবু মিয়া জানায়, বিথীকে ৫ বছর আগে বিয়ে দেয়া হয়েছে। বিথীর স্বামী প্রবাসে থাকায় সজিব তাকে ফুসলিয়ে বিয়ে করে। এ খবর শুনে আমি জরুরীভাবে বিদেশ থেকে ফিরে এসে মেয়েকে মাজেদ চেয়ারম্যানের হেফাজত থেকে বাড়িতে নিয়ে আসি। বর্তমানে মেয়েটি তার কাছে আছে বলেও তিনি স্বীকার করেন।
আপনার মতামত লিখুন :