শিরোনাম
◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অপরাধের কারণেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের  বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী  ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি  ◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত ◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন

প্রকাশিত : ৩০ মার্চ, ২০১৯, ০৫:২২ সকাল
আপডেট : ৩০ মার্চ, ২০১৯, ০৫:২২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গাইড বই শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশেমারাত্মক প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে

মজিব রহমান

বাংলাবাজারের একজন প্রকাশক বললেন, তিনি স্কুলটিকে তার গাইড বই চালু করার জন্য ত্রিশ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছেন। আমি শুনে বিস্মিত হলে তিনি বললেন, আমি পঞ্চাশ লাখ টাকা দেয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলাম।  জানতে চাই, কতো টাকার বই বিক্রি করতে পারবেন?

এক কোটি বিশ লাখ টাকা। বইয়ের খরচ হবে চল্লিশ লাখ টাকা। ত্রিশ লক্ষ টাকা দিলে লাভ হবে পঞ্চাশ লাখ টাকা। স্কুলকে দেয়া ত্রিশ  লাখ টাকা আসলে কে পায়? টাকাটা স্কুলের চেয়ারম্যান, প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য মেম্বাররাই সাধারণত ভাগবাটোয়ারা করে নেন। অনুগত কিছু শিক্ষকও কিছু পান। ফলে তারা সর্বদাই চান অতি নিম্নমানের বই পাঠ্য করতে। এতে তারা বেশি কমিশন পান। ভালো কোম্পানি কমিশন দেয় কম ফলে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের বই পাঠ্য করতে চায় না। তবুও অর্থশালী শিক্ষার্থীরা ওই দুর্বল কোম্পানির গাইড বইটি কেনার পাশাপাশি ভালো কোম্পানির একটি বইও কিনেন। অথচ সরকার গাইড বই নিষিদ্ধ করেছে। যেকোনো বাজারে প্রকাশকদের গোডাউনে হানা দিলেই কোটি কোটি টাকার নিষিদ্ধ গাইড বই পাওয়া যাবে। আমরা কোনো পত্রিকাতেই দেখি না নিষিদ্ধ গাইড বই উদ্ধার করতে মোবাইল কোর্ট বসেছে কিংবা পুলিশ কয়েক কোটি টাকার গাইড বই জব্দ করেছে। হয়তো তারাও ভাগবাটোয়ারার অংশীদার।

২৪ মার্চ এক স্নেহভাজন জানালো, সে তার ফোরে পড়া কন্যার জন্য গত সপ্তাহে একটি ভালো কোম্পানির গাইড বই কিনেছে লাইব্রেরিয়ানের কথায়। কিন্তু স্কুলে তা চলবে না। স্কুলে প্রশ্ন করবে দুর্বল কোম্পানির গাইড বই থেকে। ফলে স্কুল কর্তৃপক্ষ বলে দিয়েছে দুর্বল কোম্পানির গাইড বই কিনতে। তার অভিযোগ মূলত লাইব্রেরিয়ানের উপর। সে কেন জেনেশুনে অপাঠ্য বই তাকে গছিয়ে দিলো। লাইব্রেরিয়ানের লাভ হলো ভালো কোম্পানির বইটি সে কম দামে কিনতে পেরেছে। আর দুর্বল কোম্পানি আগেই যেহেতু কর্তৃপক্ষকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়েছে তাই বইয়ের দাম রাখে বেশি। লাইব্রেরিয়ানের লাভ যায় কমে। তিনি তাই গছিয়ে দিয়েছেন। এখন অভিভাবককে আবারো স্কুলের পাঠ্যভুক্ত নিষিদ্ধ আরেকটি গাইড বই কিনতেই হবে। যদি না কিনে তাহলে তার কন্যাকে স্কুলের শিক্ষকরা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করবে। সে যদি স্কুলে গিয়ে প্রতিবাদ করে তবে নেমে আসবে ধারাবাহিক নিপীড়ন। এই গাইড বই শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। তাদের মুখস্থ করতে বাধ্য করছে। তারা বুঝে পড়ার কোনো সুযোগই পাচ্ছে না। নিষিদ্ধ গাইড বই না কিনলে বা স্কুলে না নিয়ে গেলে কেন শিক্ষকরা মারধর করে? অথচ মারধর করাও নিষেধ। তাহলে অর্থের লোভে এক নিষিদ্ধ বই পাঠ্য করে, স্কুল কর্তৃপক্ষ কতোগুলো অপরাধ করছে? প্রতিবাদ করলেই আপনার সন্তানের জীবন শেষ করে দেবে স্কুল কর্তৃপক্ষ। ফেসবুক থেকে

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়