ডেস্ক রিপোর্ট : বনের হরিণ এখন শোভা পাচ্ছে বগুড়ার শিবগঞ্জের সিহালী বাজারের এক চাতাল ব্যবসায়ীর খামারে। চাতাল ব্যবসায়ী মোখলেছার রহমান শখের বসে হরিণ পালন শুরু করেন ২৫ বছর আগে। এখন তার খামারে ১২টি হরিণ রয়েছে। রাজশাহী বনবিভাগের বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ থেকে লাইসেন্স নিয়ে তিনি প্রথমে ৪০ হাজার টাকায় একজোড়া চিত্রা হরিণ সংগ্রহ করেন রাজশাহী চিড়িয়াখানা থেকে। সেখান থেকে শুরু এই হরিণের খামারের। ইত্তেফাক।
বগুড়া শহর থেকে ২৪ কিলোমিটার দূরে শিবগঞ্জের পিরব ইউনিয়ন। ইউনিয়নটির সিহালী বাজারের পাশে মোখলেছার রহমানের চাতাল। ওই চাতালের পাশে চার শতক জমির উপর গড়ে তোলা হয়েছে হরিণের খামার। হরিণ থাকার জন্য একটি অন্ধকার ঘর করা হয়েছে এবং পাশেই গাছের ছায়ায় একটি খালি জায়গা ঘেরাও করে রাখা হয়েছে। সেখানে হরিণ গুলোকে খাবার দেওয়া হয়।
খামারে গিয়ে দেখা গেল হরিণ গুলো ঘরের মধ্যে ছুটাছুটি করছে। ছবি তোলার জন্য বাইরে আনার জন্য অনুরোধ করলে তদারককারী আব্দুল করিম খাবার দিয়ে ডাক দিতেই হরিণগুলো দল বেধে বাইরে আসে। ক্যামরা তাক করার সঙ্গে সঙ্গে তারা চারদিকে ছুটাছুটি করতে থাকে। আবার মূহুর্তেই স্থির দাঁড়ায়।তাকিয়ে থাকে ক্যামেরার দিকে। শখের বসে হরিণ পালন করতে গিয়ে মোখলেছার রহমানের খামার ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে। সংখ্যা বেড়ে গেলে তিনি নিয়ম মেনে হরিণ বিক্রি করে দেন। এখন তার খামারে ১২টি হরিণ রয়েছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় গড়ে ওঠা পার্ক, পিকনিক স্পটের জন্য এখান থেকে হরিণ কেনা হয়। গাছের লতা-পাতা, ধান-চাল, গম, ভাত-ভুষি, কলাই, কলার গাছসহ অনেক কিছু হরিণের খাদ্য।
হরিণ লালনকারী আব্দুল করিম জানান, হরিণ পরিষ্কার জায়গায় থাকতে পছন্দ করে। এদের রোগব্যাধি কম হয়। একটি হরিণ বছরে দুইবার বাচ্চা দেয়। কিন্তু প্রতিবার একটির বেশি বাচ্চা দেয়না। মোখলেছার রহমান জানান, ছোট বেলা থেকে আমার হরিণ, উট, দুম্বা পালনের শখ ছিল। এখন আমার বাড়িতে ৩টি দুম্বা আর নানা প্রজাতির পাখি আছে। একটি দুম্বা গর্ভবতী। ওটি বিক্রি করে দেব।
তিনি আরো জানান, হরিণ পালন এবং বিক্রি করতে গেলে উভয় ক্ষেত্রে লাইসেন্স লাগে। লাইসেন্স প্রাপ্তি সহজ ও হরিণের মাংস বিক্রি করার অনুমোদন দিলে অনেক শিক্ষিত বেকার যুবক হরিণের খামার করে স্বাবলম্বী হবে এবং দেশে অনেক খামার গড়ে উঠবে। এখন সরকারী ভাবে একটি হরিণ ৫০/৬০ হাজার টাকা বিক্রি হয়ে থাকে। এ ব্যাপারে বগুড়া বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সুবেদার ইসলাম জানান, সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে লাইসেন্স নিয়ে যে কেউ বৈধভাবে হরিণ খামার গড়ে তুলতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :