ইউসুফ বাচ্চু : আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ এফআর টাওয়ারে অবস্থিত বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের নিয়ে পরিদর্শনের জন্য যায় পুলিশের ২২টি টিম। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর তারা বের হয়ে আসেন এবং অবস্থার বর্ননা দেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় পরিদর্শকারীরা ভবন থেকে বের হয়ে এসে অগ্নিকান্ডের বর্ননা দেন।
পরিদর্শনকারী শামীম আহমেদ বলেন, প্রথম যখন দ্বিতীয় তলা থেকে পুলিশের সঙ্গে ওপরে উঠতে থাকি তখনই গা শিউরে উঠছিল। যতই ওপরে উঠছিলাম ততই ধোঁয়ার গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসছিল। নাকে রুমাল চেপে কোনোমতে কষ্ট করে ওপর উঠতে থাকি।
ওপরে উঠার সময় দেখেছি ৮,৯,১০ ও ১১ তলা আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ওই ফ্লোরগুলোতে কিছুই আর বাকি নেই। পরে আমাদের অফিস ১২,১৩,১৬ ও ১৯ তলায় ঘুরে ঘুরে দেখি। আমাদের অফিসের সকল আসবাবপত্র পুড়ে গেছে কিন্তু টাকা পয়সা অক্ষত অবস্থায় পেয়েছি।
ডার্ড গ্রুপের কর্মকর্তা শামীম আহমেদ বলেন, ঘটনাস্থল দেখে গা শিউরে উঠেছে। কিন্তু ২১ তলায় যেতেই মাথা ঘুরে যায়। ওই ফ্লোরে চারিদিকে জুতা ও জিনিষ ছিড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এখানে মানুষ বাঁচার জন্য প্রাণপণ চেষ্টায় চারদিকে ছোটাছুটি করছিলো, সেটা অনুমান করা যায়।
এফআর ভবনে পুলিশের টিমের সঙ্গে নিজ অফিসের অবস্থা পরিদর্শন শেষে আসিফ ইন্টারন্যাশনালের কর্মকর্তা জিলানী বলেন, ‘আমাদের অফিসের কোনো কিছুই বাকি নেই। সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। টাকা পয়সা কোনো কিছুরই সন্ধান পাওয়া যায়নি।
ভবন পরিদর্শন শেষে নেমে আসা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের অনেকেই সর্বহারা হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। অনেককেই দেখা গেছে ফোনে বলছেন, আমরা শেষ হয়ে গেছি, আমাদের অফিসের কোনো কিছুই নেই। সব আগুনে পুড়ে ছারখার।
আপনার মতামত লিখুন :