শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৯ মার্চ, ২০১৯, ০৯:২৯ সকাল
আপডেট : ২৯ মার্চ, ২০১৯, ০৯:২৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঘর থেকে বের হয়ে নিরাপদে ফিরতে পারবো তো?

মো. আল-আমিন: একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এবং প্রতিদিন সড়কে দুর্ঘটনায় এক ধরণের মৃত্যু আতংক বিরাজ করছে ঢাকায়। সবার মনে একটিই জিজ্ঞেসা, জীবিকার প্রয়োজনে কিংবা কাজে বাসা থেকে বের হয়ে আবার নিরাপদে ফিরতে পারবো তো? এই আতংকের যথাযথ কারণও রয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনার মতোই অগ্নি দুর্ঘটনা এখন ভয়াল মূর্তি ধারণ করেছে। ঢাকায় হরহামেশাই ঘটছে এখন অগ্নিকান্ডের ঘটনা। কোনোটির ব্যাপকতা ছোট আবার কোনোটির ব্যাপকতা বড়। তবে প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে সবটাতেই।

সড়কে মৃত্যুর অন্যতম কারণ পরিবহন খাতের নৈরাজ্য অন্যদিকে অগ্নিকান্ডের মৃত্যুর কারণ হচ্ছে নিয়ম অনুযায়ী ভবন নির্মাণ না করা এবং ভবনে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা না থাকা। এর ফলে ছোট-খাটো স্পার্ক বা সিগারেটের ধোঁয়া কিংবা বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট যে কারণেই শুরু হোক না কেন পরর্বতীতে তা বড় আকার ধারণ করে। অতীত উদাহরণও তাই বলছে। গত ১০ বছর যে সকল অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তার বেশির ভাগই ছোট কারণে শুরু হলেও পরর্বতীতে বড় আকার ধারণ করে। ভবনের নির্মাণ ত্রুটিসহ পর্যাপ্ত প্রাথমিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায়। আবার ঢাকার রাস্তায় জ্যামের কারণেও যথাসময়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারে না। ঘটনার কারণ যাই মৃত্যুর মিছিল কেবল বাড়ছেই।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবি সমিতির (বেলা) তথ্যমতে, গত ১০ বছরে সারা দেশে ১৬ হাজার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে এবং এসব অগ্নিকাণ্ডে ১ হাজার ৫৯০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। (ঢাকা ট্রিবিউন)

অন্যদিকে এ বছর চুড়িহাট্টায় অগ্নিকান্ডে ৭৮ জন নিহত হওয়ার সপ্তাহখানেক ব্যবধানে মিরপুর ১৪ নম্বরের ভাসানটেক বস্তিতে আগুনে ১৫০ ঘর ভস্মীভুত হয়ে যায়। এছাড়াও রাজধানীর লালবাগে চুড়ির কারখানায়, রামপুরার চারতলা ভবনে, মহাখালীর কড়াইল বস্তিতসহ বেশকিছু অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ এফআর টাওয়ারে ২৫ জনের মৃত্যু।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির এক পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, গত এক বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ হাজার ২২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১৫ হাজার ৪৬৬ জন।

এতো মৃত্যু হলেও নিরাপদ সড়ক যেমন নিশ্চত হয়নি তেমনি চকবাজারের ঘটনার পরও ভবনের নিরাপত্তার বিষয়ে প্রশাসনের তৎপরতাও তেমন পাওয়া যায় নি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়