মঈন রেমাশাররফ : ২০১৫ সালের মে মাসে মালয়েশিয়ার পুলিশ দেশটির ওয়াং কেলিয়ান অঞ্চলে মানবপাচারকারীদের একটি পরিত্যক্ত ক্যাম্পের সন্ধান পান। এ সময় তারা সেখানে একটি গণকবরেরও সন্ধান পান। সেখান থেকে ১৩৯টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হয় যে, গণকবরে পাওয়া মৃতরা মিয়ানমারে নির্যাতিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও বাংলাদেশ থেকে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশী। ডয়চে ভেল
এ বিষয়ে বুধবার ‘হিউম্যান রাইটস কমিশন অফ মালয়েশিয়া' এবং ‘ফোর্টিফাই রাইটস’ নামের মানবাধিকার সংস্থার প্রতিবেদনে প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়, গণকবর বিষয়ে মালয়েশিয়া সরকারের প্রতিবেদন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, যা একটি ‘অন্যায়কে ন্যায়’ বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে।
মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, গণকবরটি পাওয়ার প্রায় চার মাস আগেই মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানতো। প্রতিবেদনটিতে তারা আরো জানায়, পাচারকৃতদের আটকে রাখা একটি অঞ্চলে জানুয়ারি মাসের ১৯ তারিখে মালয়েশীয় পুলিশ এ অভিযান পরিচালনা করে। পরে তারা এ সংক্রান্ত সবকিছুই ধ্বংস করে দেয়, যা তদন্তে সহায়তা করতো পারতো ।
প্রতিবেদনটিতে আরো বলা হয়, মৃতদেহগুলো উত্তোলনের ক্ষেত্রেও মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষ গড়িমসি করেছে, যা ফরেনসিক রিপোর্টকে প্রভাবিত করেছে। প্রতিবেদনটি বলছে, মালয়েশিয়া সরকারের এ ধরণের পদক্ষেপের কারণে ন্যায়বিচার বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :