সুজন কৈরী : বনানীর এফআর টাওয়ারের আগুন থেকে এক তরুণীকে উদ্ধার করা ফায়ার সার্ভিসের সেই সদস্যের নাম খন্দকার আবদুল জলিল। তিনি উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) হিসেবে কর্মরত। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হলেও আগুনের ভয়াবহতা দেখে তাকে ছুটে যেতে হয় মানুষকে উদ্ধারে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাতের পর বিকেল থেকে ফেসবুকে বেশ কিছু ছবি ভাইরাল হয়েছে। তার মধ্যে তরুণীকে পিঠে করে উদ্ধারের ছবিটিও ছিল।
আব্দুল জলিল সাংবাদিকদের বলেন, টেলিভিশনে আগুনের ভয়াবহতা এবং অনেক মানুষের জীবনের বিষয়টি দেখে আমরা সঙ্গে সঙ্গেই মুভ করলাম ঘটনাস্থলের দিকে। আমাদের পরিকল্পনা ছিল নেভানোর পাশাপাশি আগুন থেকে উদ্ধার কাজও চলিয়ে যাওয়া। তখন তিনটি ল্যাডার ইউনিট দিয়ে আগুন নেভানো হচ্ছিল এবং আরকটিতে আমি এবং আরেকজন ছিলাম। ওই ল্যাডার ইউনিট নিয়ে যখন ১২ বা ১৩ তলায় পৌঁছালাম তখন একটি মেয়েকে বাঁচান বাঁচান বলে কাঁদতে দেখা যায়। তাকে কিছুটা আগাতে বললে পায়ে আঘাত রয়েছে উল্লেখ করে হাঁটতে পারবে না বলে জানায়। সেইসঙ্গে মেয়েটা ভয়েও ছিল। সে শুধু একটা কথাই বলছিল আমার মা নিচে আছে, মায়ের কাছে যাব।
এরপর ওই তরুণীকে নিজের কাঁধে তুলে নেই। খুব কান্নাকাটি করায় তাকে হালকা করতে জিজ্ঞাসা করি, কী করেন? সে জানায় চাকরি করেন। এরপর তার বাবা-মায়ের নাম জিজ্ঞাসা করলে সে বলে আমার মা নিচেই আছে।
আব্দুল জলিল বলেন, মেয়েটি বাসায় চলে যেতে চাইলে আমি তাকে প্রথমে হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলি, হাসপাতাল থেকে বাসায় যাবেন।
তিনি আরো বলেন, প্রত্যেক মানুষের জীবন রক্ষা করে আমরা তৃপ্তি পাই। এ ঘটানাও আমাকে তৃপ্ত করেছে। কিন্তু কেউ যদি মারা না যেত তাহলে আর কোনো অতৃপ্তি থাকতো না।
আপনার মতামত লিখুন :