মঈন মোশাররফ : দক্ষিণ এশিয়ার কোন দেশই জনগণের অংশগ্রহণ, সমতা এবং বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টিকারী উপাদানগুলোকে সরিয়ে রাখার ক্ষেত্রে খুব একটা সুবিধাজনক জায়গায় নেই। এ কারণে জনগণের দাবি-দাওয়া বেড়ে গেছে এবং যে সব জায়গায় এই পার্থক্যটা বেশি, সেখানে চাপটা পড়ছে অর্থনৈতিক উন্নয়নের উপর।
শুক্রবার সাউথ এশিয়ান মনিটরকে তিনি বলেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক তৎপরতার ঘাটতি দেখা দিয়েছে। যে দেশটিকে একসময় অতিমাত্রায় রাজনৈতিক মনে করা হতো, সেখানে পরিস্থিতি ভীষণ বদলে গেছে। নির্বাচনী গণতন্ত্র সবচেয়ে বেশি দুর্বল হয়ে গেছে এবং ভোটাররা খুব কমই ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের এই অবস্থাটা অবশ্য আলাদা কিছু নয়। সার্বিকভাবে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং এর মধ্যে ভারতও রয়েছে, যে ভারতকে অনেকেই উত্তর-ঔপনিবেশিক সরকারের মডেল এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থার জননী হিসেবে বিবেচনা করতো।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক শাসন ব্যবস্থায় বৈচিত্র্যের সুযোগ কম। অন্যদিকে, ভারতের চ্যালেঞ্জ হলো বিদ্যমান বৈচিত্র্যকে দক্ষতার সাথে রক্ষা করা। পুরো দেশ জুড়েই তাদের এ বৈচিত্র রয়েছে, যেটা কার্যত অনেকটা কমনওয়েলথের মতো কাজ করে। এটা শুধু বৈচিত্র বা পার্থক্যের বিষয় নয়, বরং রাজনৈতিক প্রাধান্যের তালিকাটা এখানে এতটাই আলাদা যে, এখানে সবার জন্য সাম্যের যোগান দেয়াটা বাধাগ্রস্ত হয়।
আপনার মতামত লিখুন :