শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা ◈ জনগণকে সংগঠিত করে চূড়ান্তভাবে বিজয় অর্জন করতে হবে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ২৯ মার্চ, ২০১৯, ০৫:১০ সকাল
আপডেট : ২৯ মার্চ, ২০১৯, ০৫:১০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

১৫ বছরে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১৯৭০, আহত ১০,৪২৫ জন, এত আগুন, রহস্য কী?

নিউজ ডেস্ক: সাম্প্রতিক সময়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বেড়েছে। আগুনে জীবনহানি ঘটছে, পুড়ছে সম্পদ। গ্রাম থেকে শহর, বস্তি থেকে শুরু করে আবাসিক ও বাণিজ্যিক বহুতল ভবন, দোকানপাট, গুদাম, মার্কেট কোনো কিছুই আগুনের লেলিহান গ্রাস থেকে মুক্ত নয়। কিন্তু কেন ঘন ঘন আগুন লাগছে, সেই রহস্য আগুনের কুণ্ডুলির মতোই ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন। প্রশ্ন উঠেছে এসব নিছক দুর্ঘটনা নাকি এর পিছনে অন্য কিছু আছে। সূত্র: ইত্তেফাক

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ আগুন লাগার ক্ষেত্রে মোটা দাগে ১৯ টি কারণ পেয়েছে। এগুলো হচ্ছে চুলার আগুন, বৈদ্যুতিক গোলযোগ, সিগারেটের টুকরা, খোলা বাতির ব্যবহার, উত্তপ্ত ছাই বা জ্বালানি, বাচ্চাদের আগুন নিয়ে খেলা, যন্ত্রাংশে ঘর্ষণজনিত, ইচ্ছাকৃত অগ্নিসংযোগ, উচ্ছৃঙ্খল জনতা কর্তৃক আইন ভঙ্গ করে আগুন, মাত্রাতিরিক্ত তাপ, মিস ফায়ার, স্বত:স্ফূর্ত প্রজ্বলন, চিমনি থেকে জলন্ত আগুন, স্থির বিদ্যুত্, রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া, বাজি পোড়ানো, বনজঙ্গল থেকে আগুন, জাহাজে ও বিমানে আগুন।

গত ১৫ বছরে আগুনে পুড়ে মারা গেছেন ১৯৭০ জন। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন ১০ হাজার ৪২৫ জন। তবে কোনো কারণ জানা যায়নি এমন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ১ হাজার ৪১১টি।

সর্বশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার বনানীর এফ আর টাওয়ারে আগুনে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এই কিছুদিন আগে পুরান ঢাকার ক্যামিক্যাল গুদামে, চট্টগ্রামে বস্তিতে এবং রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মতো স্পর্শকাতর স্থাপনায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

চলতি বছর তিনটি বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ২০০৪ সাল থেকে ২০০৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪০ হাজার ৬৬৩ টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৩৬৮৪ জন আহত ও ৪৮০ জন নিহত হন। দমকল কর্মকর্তা নিহত হন ৫ জন। ১৮৪ জন আহত হন। ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ৭৮ হাজার ৯৫টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১৩৮৫ জন আহত ও ১৬১ জন নিহত হন। দমকল কর্মী আহত হন ৮৬ জন ও নিহত হন একজন। ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৮৯ হাজার ৯২৩টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৫১৩৫ জন আহত আর নিহত হন ১১২২জন। দমকল কর্মী ৪৮২ জন আহত হন আর নিহত হন ৩ জন।

দেখা যাচ্ছে, ২০০৪ সালের পর থেকে ক্রমেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা যেমন বেড়েছে তেমনি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বা সংখ্যাও বেড়েছে। তবে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাপনায়ও বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। আধুনিক যন্ত্রাংশের ব্যবহার বেড়েছে। আগে যেখানে ক্রেন সাত তলার ওপর পৌঁছাত না, এখন সেখানে ২০ তলা পর্যন্ত পানি ও কর্মী বহন করার মতো ক্রেন রয়েছে। দমকল কর্মী ও প্রশিক্ষণও বাড়ানো হয়েছে। বিএসইসি ভবন ও বসুন্ধরা সিটিতে অগ্নিনির্বাপণের সময় দমকলবাহিনী ছিল অসহায়। কারণ তখন আধুনিক যন্ত্রাংশ ছিল না, প্রশিক্ষিত কর্মী বাহিনীর অভাব ছিল। এখন পানি সরবরাহের গাড়িও বাড়ানো হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়