মো. তৌহিদ এলাহী : বনানীর এফ আর টাওয়ারের আগুন সব তলায় না ছড়ালেও তা নিয়ন্ত্রণে সময় লেগেছে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, সময়মতো ঘটনাস্থলে এলেও কাজ শুরু করতে সময় লেগেছে ফায়ারসার্ভিসের। তবে সংস্থাটির উপপরিচালক বলছেন ভবনে দায্য পদার্থ বেশি থাকায় কাজ শুরু করতে দেরি হয়েছে। ইনডিপেন্ডেন্ট।
আগুনের তিন ঘণ্টা পরেও জানালার সামনে ছিল আটকেপড়াদের আকুতি। অনেকে ছাদে অপেক্ষমান ছিলেন বহুক্ষণ। এই অবস্থায় মাত্র একটি ল্যাডার দিয়েই আটকেপড়াদের উদ্ধারে অভিযান চালিয়েছে ফায়ারসার্ভিস। এতে হতাহতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা থাকলেও তাদের করণীয় কিছুই ছিলো না। অভিযোগ উঠেছে ফায়ারসার্ভিসের দায়িত্বপালন নিয়ে।
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ‘সামান্যতম দায়িত্ব পালন করলে আজকে এতগুলো মানুষ মরতো না। প্রথমে আগুন কম ছিলো। যে ক্রেনটা প্রথমে এসেছিল সেটা চলেনি। তাই দেরিতে উদ্ধার কাজ শুরু হয়।’
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী জানান , ‘প্রথম ক্রেনটা উপরে আগুনের কাছে নিলেও পানি বের হয়নি। পরে আরেকটা ক্রেন আসলে সেটা দিয়ে পানি দেয়া হয়।’
তবে এসব অভিযোগ নাকচ করেছে ফায়ারসার্ভিস।
ফায়ারসার্ভিস থেকে বলা হয়, ‘ঘটনার সময় রাস্তায় অনেক ট্রাফিক জ্যাম ছিলো। আমরা রং সাইড দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যতটা সম্ভব জলদি ১৩টা ইউনিট এসেছি। আমাদের পানিরও কোন স্বল্পতা ছিলো না। তবে এটি একটি বাণিজ্যিক ভবন। ভবনে অনেক দাহ্য পদার্থ ছিল ফলে সময় বেশি লেগেছে।’
আপনার মতামত লিখুন :