শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ২৯ মার্চ, ২০১৯, ০৩:৫০ রাত
আপডেট : ২৯ মার্চ, ২০১৯, ০৩:৫০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ওয়ালিউর রহমান বললেন, ভাসানচরে পাঠানোর জন্য রোহিঙ্গাদের বোঝাতে হবে

আমিরুল ইসলাম : রোহিঙ্গারা ভাসানচরে যেতে চাচ্ছে না, আবার মিয়ানমারেও যেতে যাচ্ছে না। বাংলাদেশ সরকার জোর করে তাদের মিয়ানমারে পাঠাতে পারছে না। মিয়ানমারও রোহিঙ্গাদের ফেরতে নিচ্ছে না। এ পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করার জন্য কী করা প্রয়োজন জানতে চাইলে সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমান বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ভালোভাবে বুঝিয়ে ভাসানচরে পাঠানো সম্ভব হবে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন করা সম্ভব হবে, তবে এর জন্য কিছুটা সময় লাগবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্ত, প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত যে, রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে পাঠানো হবে। কারণ কক্সবাজারে তাদের জায়গা হচ্ছে না। কক্সবাজারের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমাদের পর্যটন খাত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। বিভিন্ন গোষ্ঠী তাদের ভুয়া পরিচয়ে বিদেশে পাচার করছে। এগুলো ঠেকানোর জন্য সরকার তাদের ভাসানচরে নিয়ে যাচ্ছে। সেখানে নিলে তাদের দেখাশোনার সুবিধা হবে। তারা আরামে থাকতে পারবে, সেখানে প্রচুর জায়গা রয়েছে। সেখানে তাদের কষ্ট কম হবে। কক্সবাজারে তাদের থাকার কষ্ট হচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে তারা। এজন্য তাদের ভাসানচরে নেয়া হচ্ছে। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন এনজিও আমাদের সঙ্গে একমত।

মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে, চলছে। তবে মিয়ানমার আমাদের সঙ্গে যে চুক্তি করেছিলো সে চুক্তি অনুযায়ী তারা কাজে করছে না। প্রধানমন্ত্রী নিজে চীন সরকারের কাছে সাহায্য চেয়েছেন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে। মিয়ানমারের সঙ্গে সবচেয়ে ভালো সম্পর্ক চীনের। তাই এ ব্যাপারে মিয়ানমারের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, একটা আন্তর্জাতিক সমস্যা হলে সেটা সমাধানের জন্য কিছুটা সময় লাগেই। এর জন্য একটু কষ্ট হবে, সময় লাগবে। আমাদের কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। বিদেশি বন্ধুরাষ্ট্রগুলো আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান, মুসলিম বিশে^রও কিছু দেশ দাঁড়িয়েছে আমাদের পাশে। যেহেতু আমরা মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে তাদের আশ্রয় দিয়েছি সেহেতু আমাদের একটু কষ্ট করতেই হবে।

একাত্তরে স্বাধীনতা যুদ্ধে এক কোটিরও বেশি লোককে আমাদের পাশ^বর্তী দেশ ভারতে আশ্রয় দিয়েছিলো। সেগুলো আমরা ভুলতে পারি না। বাংলাদেশে রোহিঙ্গা এসেছে বারো লাখের বেশি। আশা করছি আমরা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন করতে পারবো। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না করতে পারলে আমাদের জন্যও নিরাপত্তা হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়