সামসুদ্দোহা : সম্প্রতি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট প্রদানের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য রূপে কমে গেছে। ভোটদানে অনীহার অর্থ গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রতি নিষ্ক্রিয়তা। গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সুদীর্ঘ সংগ্রাম এবং শেষাবধি গণতন্ত্রের জন্যই হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ বিজয়ী বাঙালি জাতি স্বাধীনতা অর্জন করে। সেই বাঙালির গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগে এতো অনীহার সঙ্গত কারণ আছে। এমন পরিস্থিতে ইউটিউবে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের দেশব্যাপী নানা ছদ্মবেশে নসিহত বর্ষণ বৃদ্ধির জজবা দারুণভাবে শুরু হয়েছে।
অরাজনীতিকীকরণ এবং নিয়তিবাদের প্রচারণা বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সমস্ত সমাবেশে জনসমাগম বৃদ্ধিও লক্ষণীয়। গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রতি নিষ্ক্রিয়তা ও অনীহার ফলে নিয়তির উপর নির্ভরশীলতা সৃষ্টির শক্তির অবস্থান বেড়ে যায়। ভাববাদ নিয়তিবাদকে গ্রাস করে। ফলে মৌলবাদী সমাজ সৃষ্টির উর্বরতা তৈরি হয় এবং ধর্মীয় সন্ত্রাসী শক্তির উত্থান ঘটে। তালেবান রাষ্ট্র বানাতে সচেষ্ট হয়। গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের প্রতি নিষ্ক্রিয়তা-অনীহা সোনার বাংলাকে পুনর্বার কোনো অন্ধকার গহ্বরে নিমজ্জিত করবে কিনা-ভবিষ্যতে বলবে। সাধু সাবধান! ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :