শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ২৯ মার্চ, ২০১৯, ০১:৪৯ রাত
আপডেট : ২৯ মার্চ, ২০১৯, ০১:৪৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইরানের ১৬০ কোটি ডলার বাজেয়াপ্ত করার মার্কিন অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করল লুক্সেমবার্গ আদালত

রাশিদ রিয়াজ : ইরানের ১৬০ কোটি ডলারের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে ৯/১১ হামলায় নিহতদের পরিবারবর্গকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেয়ার যে অনুরোধ যুক্তরাষ্ট্র করেছিল লুক্সেমবার্গের একটি আদালত তা প্রত্যাখ্যান করেছে।২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী হামলায় ইরানের হাত ছিল বলে রায় দেয়। সেইসঙ্গে ওই হামলায় হতাহতদের ক্ষতিপূরণ বাবদ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত ইরানের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে ৭০০ কোটি ডলার অধিগ্রহণ করারও নির্দেশ দেয় মার্কিন আদালত।

কিন্তু ইরানের অর্থ হাতিয়ে নেয়ার সুযোগ না থাকায় মার্কিন আদালতের ওই রায় এতদিন কার্যকর করা যায়নি। সম্প্রতি ওয়াশিংটন এ তথ্য জানতে পারে যে,লুক্সেমবার্গের ‘ক্লিয়ারস্ট্রিম’ কোম্পানির কাছে ইরানের ১৬০ কোটি ডলারের সম্পদ আটকা পড়েছে। এ অবস্থায় মার্কিন সরকার লুক্সেমবার্গকে ওই সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার অনুরোধ করলে দেশটির সরকার এ বিষয়ে কর্তব্য নির্ধারণের জন্য আদালতের শরণাপন্ন হয়।

লুক্সেমবার্গের আদালত বুধবার তার রায়ে জানায়, ১১ই সেপ্টেম্বরের হামলার সঙ্গে ইরানের সংশ্লিষ্টতার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। একইসঙ্গে ২০১২ সালে মার্কিন আদালত ইরানের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার যে নির্দেশ দিয়েছে আন্দর্জাতিক আইনের সঙ্গে তা সঙ্গতিপূর্ণ নয়। আল-কায়েদা জঙ্গি গোষ্ঠী বা ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার সঙ্গে নিজের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ শুরু থেকেই প্রত্যাখ্যান করে এসেছে ইরান।

এদিকে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বাহরাম কাসেমি বলেছেন, বানোয়াট ও মিথ্যা কথা বলে ট্রাম্প প্রশাসন ইরানি জনগণের সম্পদ ডাকাতি করতে পারে না। তিনি আরো বলেছেন, বিশ্বে এখনো কিছু আদালত আছে যারা স্বাধীন দৃষ্টিভঙ্গি পোাষণ করে। বাহরাম কাসেমি বলেন, মার্কিন একচেটিয়া আধিপত্যের দিন শেষ এবং তারা এখন আর এ ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে সুবিধা করতে পারবে না।

এছাড়া ইরানের তেল রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিলে ট্রাম্প প্রশাসন বিভক্ত হয়ে পড়েছে। তেলের মূল্য বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় কর্মকর্তাদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে বলে কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চার ব্যক্তি ব্লুমবার্গ সংবাদ মাধ্যমকে গত মঙ্গলবার জানিয়েছে, মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা যুদ্ধবাজ জন বোল্টন, জ্বালানী বিভাগের কিছু কর্মকর্তাসহ রিপাবলিকান দলের সিনেটর মার্কো রুবিও এবং টম কটন ইরানি তেল ক্রেতা দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আর শিথিল না করার পক্ষে মত দিয়েছেন। অন্যদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও’র টিম এবং অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মানিউচিন সতর্ক করে দিয়েছেন যে বাজার থেকে ইরানি তেল হঠাৎ করে উধাও হয়ে গেলে তেলের মূল্য অনেক বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, এ বিভক্তি ধীরে ধীরে তীব্র আকার ধারণ করছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে পারে নি সংবাদ মাধ্যমটি।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সহকারি নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেগান ওসুলিভান বলেন, বিশ্ব বাজারে ইরান এবং ভেনিজুয়েলার তেল সরবরাহ কমিয়ে দেয়ার মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কঠোর নীতি গ্রহণ করা ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য যথেষ্ট ঝুঁকি রয়েছে। প্রেসটিভি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়