শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা ◈ জনগণকে সংগঠিত করে চূড়ান্তভাবে বিজয় অর্জন করতে হবে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ২৮ মার্চ, ২০১৯, ০৬:৪৮ সকাল
আপডেট : ২৮ মার্চ, ২০১৯, ০৬:৪৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মেরামতের অভাবে প্রায় অকেজো ৪৯২ রেল কোচ

নিউজ ডেস্ক : নিয়মিত মেরামতের অভাবে পুরোপুরি অকেজো হওয়ার পথে ৪৯২টি রেল কোচ। বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে বর্তমানে ৯৩৩টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী রেল কোচ ও ছয় হাজার ওয়াগন রয়েছে। মিটারগেজ কোচ ওয়াগনগুলোর নিয়মিত মেরামত করার একমাত্র স্থাপনা চট্টগ্রামের পাহাড়তলী ক্যারেজ ও ওয়াগন কারখানা। ১৯৪৭ সালে স্থাপিত এই কারখানার অধিকাংশ প্ল্যান্টস ও মেশিনারিজ পুরাতন। ফলে এগুলোর কার্যক্ষমতাও হ্রাস পেয়েছে। বাংলানিউজ২৪।

বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্র জানায়, কারখানার দক্ষ জনবলেরও অভাব রয়েছে। তাছাড়া ৯৩৩টি এমজি যাত্রীবাহী কোচের মধ্যে ৪৯২টির বয়স ৩৫ বছর বেশি। যে কারণে জরাজীর্ণ কোচগুলো মেরামতে বেশি সময় দরকার হয়। বাজেটসহ কারখানার নানা সমস্যার কারণে কোচগুলো মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না। নিয়মিত মেরামত করলে কোচগুলো বাংলাদেশ রেলওয়েতে আরো কিছুদিন সেবা দিতে পারতো। অথচ মেরামতের অভাবে পুরোপুরি নষ্ট হওয়ার পথে কোচগুলো। একবার মেরামত করলে একটি কোচ অনায়াসে ১২ বছর পরিচালনা করা যায়। কোচগুলোর লাইফ টাইমও বেড়ে যায়।

মেরামতের কারখানার সক্ষমতার অভাবে জরাজীর্ণ কোচের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বর্তমানে ৪৫০টি মিটারগেজ কোচ শিডিউল ওভারভিউ অবস্থায় চলাচল করছে এবং এই সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। যাত্রী চাহিদা পূরণের জন্যই কোচগুলো বাধ্য হয়ে একাধারে চলাচল করছে, যা নিরাপদ ট্রেন পরিচালনার জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

প্রাথমিকভাবে ৪৯২টি রেল কোচের মধ্যে প্রকল্পের আওতায় ১০০টি মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। কোচগুলো কারখানার বাইরে প্রাইভেট এজেন্সির মাধ্যমে মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে স্বল্প সময়ে পাহাড়তলী ওয়ার্কশপে কোচ মেরামত করা সম্ভব নয়।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, যাত্রীবাহী কোচের বৈদেশিক স্পেয়ার পার্টস সংগ্রহের জন্য তিনটি প্যাকেজ ও স্থানীয় সংগ্রহের জন্য ৩৬টি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্যাকেজ করা হয়েছে। সমজাতীয় স্পেয়ার পার্টস নিয়ে তৈরি করা হয়েছে একটি প্যাকেজ।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, একটি এমজি কারখানায় বছর ৫০টি কোচ মেরামত করা সম্ভব হয়। একবার কোচ মেরামত করলে ১২ বছর সেবা দিতে পারে। বিভিন্ন শিডিউল ভাগ করে এগুলো মেরামত করতে হয়। কিন্তু পুরো রেলখাত এক সময় অবহেলিত ছিল। এর মাশুল আমাদের দিতে হচ্ছে। তবে নতুন নতুন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। যাতে করে কোচগুলোকে বাঁচিয়ে রাখা যায়।

তিনি আরো বলেন, পুরাতন কোচগুলো যাতে আরো বেশি সেবা দিতে পারে সেই লক্ষ্যে কিছু কোচ বেসরকারি উদ্যোগে মেরামত করবো।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়