তাসমিয়া নুহিয়া আহমেদ : ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জটিল প্রক্রিয়া নিয়ে রীতিমতো যুদ্ধ করছে যুক্তরাজ্য। ৩১ মার্চ ব্রেক্সিটের শেষ সময় নিয়েও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে ব্রিটেনবাসী। তাদের জন্য এটি এক অবিশ্বাস্য সংকট। ইইউ’র সঙ্গে ব্রিটেনের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অবিচ্ছেদ্য অংশীদারিত্ব যা থেকে বের হওয়াটা অতোটা সহজ নয়। তার ওপর সংস্থাটি প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে অবিচ্ছিন্ন রয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমান বলেছেন, ‘ব্রিটিশ হাউজ অব কমন্সের অধিকাংশ সদস্য ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট দিলেও ব্রেক্সিট কার্যকর করা যুক্তরাজ্যের পক্ষে সহজ নয়। কারণ ব্রেক্সিট যুক্তরাজ্যের জন্য ভালো কিছুই বয়ে আনবে না’।
ঐতিহ্য ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমান আরও বলেছেন, ‘এই সিদ্ধান্ত সারসরি ব্যবসায়িক বাজারের ওপর প্রভাব ফেলবে। এর ফলে আমদানির হার বাড়বে এবং রপ্তানির হার কমবে। সরকারও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে দিশেহারা। এছাড়া বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও সার্বিক পরিস্থিতি দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করতে ব্যর্থ হয়েছেন’। তিনি উল্লেখ করেন ‘প্রায় ১০ লাখ ব্রিটেনবাসী ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গেই থাকার জন্য যুক্তরাজ্যের রাস্তায় রাস্তায় ধর্মঘট করছেন। তাদের মতে ইইউ থেকে বেরিয়ে গেলে যুক্তরাজ্যের সাধারণ নাগরিক ব্যবসা, শিক্ষা এমনকি দৈনন্দিন জীবনেও সীমাহীন জটিলতার সম্মুখীন হবে’। ওয়ালিউর রহমান বলেছেন, এটি এক সাময়িক সমস্যা এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার আগেই যুক্তরাজ্যকে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। এরই মধ্যে ব্রিটেনবাসীর সুবিধার কথা চিন্তা করে কিছু নির্দিষ্ট শর্ত মেনে ইইউ’র সঙ্গে চুক্তি করতে ও দ্বিতীয় গণভোটের দাবিতে ধর্মঘট করছে সাধারণ জনতা। তার মতে, ‘ব্রিটেনের জন্য এ ধরনের চুক্তি বরং ভালো সিদ্ধান্ত হতে পারে’।
আপনার মতামত লিখুন :