শিরোনাম
◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৫৯.৭ শতাংশ  ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ২৮ মার্চ, ২০১৯, ০৪:০৩ সকাল
আপডেট : ২৮ মার্চ, ২০১৯, ০৪:০৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

২৫৬ প্রকল্পে ঋণ খোঁজা হচ্ছে

নিউজ ডেস্ক : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় চলতি বছর থেকেই ৩০ হাজার কোটি টাকায় উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি’ হাতে নিতে চায় সরকার। ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যও ঠিক করা হয়েছে। উন্নয়ন সহযোগী দেশ বা সংস্থার ঋণে প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্তও হয়েছে। খবর যুগান্তর

এ ছাড়া বৈদেশিক ঋণে গঙ্গা ব্যারাজ প্রকল্পও বাস্তবায়ন চায় সরকার। এ জন্য ২৯ হাজার ৮৪৩ কোটি টাকা বৈদেশিক ঋণসহ ব্যয় ধরা হয়েছে ৩১ হাজার ৪১৩ কোটি টাকা। চলতি বছর শুরু হয়ে ২০২১ সালের জুনে বাস্তবায়নের লক্ষ্য ঠিক করেছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

পরিকল্পনা কমিশন প্রাথমিক উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব অনুমোদন দিয়ে বৈদেশিক ঋণ সংগ্রহেও তা পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি)। বৈদেশিক ঋণে এ রকম ২৫৬টি উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থের জোগান দিতে দাতা সংস্থা ও দেশ খোঁজা হচ্ছে।

প্রকল্পগুলো নীতিগত অনুমোদন দেয়ার সঙ্গে ঋণের সম্ভাব্য উৎসও নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রয়োজন প্রায় ৪ লাখ কোটি টাকা। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) এ রকম একটি তালিকা অনুমোদন দিয়েছে।

চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপিতে (আরএডিপি) বৈদেশিক সাহায্য প্রাপ্তির সুবিধার্থে অননুমোদিত নতুন এসব প্রকল্প দেশের টেকসই উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

কথা হয় পরিকল্পনা সচিব মো. নুরুল আমিনের সঙ্গে। তিনি বুধবার যুগান্তরকে বলেন, প্রকল্পগুলোতে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়নি। কিংবা প্রকল্পভিত্তিক অনুমোদন দেয়া হয়নি। তবে পরে যাতে সহজেই বৈদেশিক ঋণ পাওয়া যায়, সে জন্য গুরুত্ব বিবেচনায় প্রকল্পগুলো নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে এনইসি।

তিনি জানান, তালিকায় থাকায় ঋণ পেতে কিংবা প্রক্রিয়াকরণে সহজ হবে। পর্যালোচনায় দেখা গেছে, তালিকায় পরিবহন খাতে সর্বোচ্চ ১০৭টি প্রকল্প রয়েছে। কৃষি খাতে রয়েছে ২৮, পল্লী উন্নয়ন ও পল্লী প্রতিষ্ঠান খাতে ৮, শিল্পে ৭, বিদ্যুতে ৩৪, তেল-গ্যাস ও প্রাকৃতিক সম্পদে ৫, ভৌত পরিকল্পনা ও পানি সরবরাহে ১১, শিক্ষা ও ধর্মে ১৬, স্বাস্থ্য-পুষ্টি-জনসংখ্যা ও পরিবারকল্যাণে ৯, গণসংযোগে ১, মহিলাবিষয়ক ও যুব উন্নয়নে ৩, জনপ্রশাসনে ১৮ এবং শ্রম ও কর্মসংস্থানে ৯টি প্রকল্প রয়েছে।

ঢাকা নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের চিফ ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন বলেন, আরএডিপির তালিকায় থাকা মানেই সরকারের গুরুত্বের বহিঃপ্রকাশ। অর্থাৎ সরকার এসব প্রকল্প বৈদেশিক ঋণে বাস্তবায়ন করতে চায়। আগেভাগে প্রকল্প বাছাই করা থাকলে পরবর্তী সময়ে প্রক্রিয়াকরণে সুবিধা হয়। তবে বিশ্বব্যাংক ও এডিপিসহ উন্নয়ন সহযোগীরা সাধারণত প্রকল্পের বিপরীতে ঋণ প্রস্তাবের চিঠি পেলেই পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু করে। সে ক্ষেত্রে ঋণ প্রস্তাব দেয়ার ক্ষেত্রে হয়তো এ তালিকাকে গুরুত্ব দেয় মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো। এটি ভালো উদ্যোগ।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব (ইআরডি) মনোয়ার আহমেদ বলেন, কোনো মন্ত্রণালয় থেকে বৈদেশিক ঋণের প্রস্তাব দেয়া হলে আমরা প্রথমেই জিজ্ঞাসা করি প্রকল্পটি কোনো অনুমোদন আছে কিনা। তখন তারা যদি বলে এডিপি অথবা সংশোধিত এডিপিতে তালিকাভুক্ত রয়েছে তখন সেটি অর্থ অনুসন্ধানের জন্য প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। তাই তালিকাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পর্যায়ক্রমে তালিকা ধরেই বৈদেশিক সাহায্য অনুসন্ধানের জন্য প্রস্তাব আসে ইআরডিতে।

তালিকায় থাকা প্রকল্পগুলোর মধ্যে মহেশখালী বিদ্যুৎ হাব নির্মাণে ভূমি উন্নয়ন ও চ্যানেল ড্রেজিং প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা। এর পুরোটাই বৈদেশিক সহায়তায় করতে চায় সরকার। এ জন্য জি টু জি ভিত্তিতে চায়না এক্সিম ব্যাংক থেকে ঋণ প্রাপ্তির সম্ভাব্য উৎস ঠিক করা হয়েছে।

এ ছাড়া মহেশখালীতে ১৩২০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক আল্ট্রা সুপার বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৭ হাজার ১১ কোটি টাকা। এতে চীনের ঋণ থেকে ১৫ হাজার ২০১ কোটি টাকার লক্ষ্য ধরা হয়েছে। চট্টগ্রাম জোনে মাটির নিচে ৩৩ কেভি লাইন স্থাপন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা।

চীনের ঋণ থেকে এর পুরো অর্থের জোগান আসবে বলে ঠিক করা হয়েছে। চীনের ঋণে ৪ লেনবিশিষ্ট সীতাকুণ্ড-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়ক নির্মাণ এবং উপকূলীয় অঞ্চল রক্ষা প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা।

এডিবি বা অন্য যে কোনো সংস্থার অর্থে ঢাকা (কাঁচপুর)-সিলেট জাতীয় মহাসড়ক ৪ লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প বাস্তবায়নে ১২ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকা ঠিক করা হয়েছে। ঢাকা পূর্ব-পশ্চিম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ১৬ হাজার ৩৮৮ কোটি টাকার মধ্যে বৈদেশিক সহায়তা ধরা হয়েছে ১৩ হাজার ৩৮৮ কোটি টাকা। অর্থের উৎস ধরা হয়েছে মালয়েশিয়া সরকারকে। মালয়েশিয়া সরকার এ ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে।

বরিশাল-ভোলা সড়কে কালাবদর ও তেঁতুলিয়া নদীর ওপর ভোলা সেতু নির্মাণ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ হাজার ৯১৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১০ হাজার ২৮১ কোটি টাকা বৈদেশিক ঋণ থেকে আসবে।

ঋণের সম্ভাব্য উৎস ধরা হয়েছে চীন, জাইকা, এডিবি, বিশ্বব্যাংক, আইডিবিসহ যে কোনো সংস্থা বা দেশ। সোনাদিয়া দ্বীপে একটি গভীর সমুদ্রবন্দর স্থাপন প্রকল্পে বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা। এর পুরোটাই জাইকা, বিশ্বব্যাংক, এডিবি, আইডিবি বা চীনের ঋণে করতে চায় সরকার।

পায়রা বন্দরের কোর পোর্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার কম্পোনেন্টটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ হাজার কোটি টাকা। পুরোটাই বিশ্বব্যাংক, চীন, এডিবি, জাইকা এবং আইডিবি থেকে ঋণ হিসেবে প্রত্যাশা করছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়