মাসুদ আলম ও মোস্তাফিজুর রহমান: রাজধানীর আফতাবনগরে গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুক যুদ্ধে দুজন নিহত হয়েছেন। তারা হলেন- টারজান মনির ও শাহ আলী। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহতদের শরীরে একাধিক গুলির আঘাত রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য দুজনের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে চারটি পিস্তল, ১৬টি গুলি, ৫০ কেজি গাঁজা ও একটি মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে টারজান মনিরের বিরুদ্ধে প্রায় ১৩টি মামলা রয়েছে। মাদক বিক্রি, হত্যা, অস্ত্র ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে এসব মামলা হয়েছে। এছাড়া শাহ আলীর নামে ৬টি মামলা রয়েছে।
ঢাকা মহানগর উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ডিসি মশিউর রহমান বলেন, ১৯ মার্চ মেরুল বাড্ডায় জুলহাস নামের এক চালককে হত্যা করা হয়। এতে জড়িত সন্দেহে সাজু নামের এক ব্যক্তিকে বুধবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করে ডিবি। জিজ্ঞাসাবাদে সাজু জানান, তিনি এবং শাহ আলী এক লাখ টাকার বিনিময়ে জুলহাসকে হত্যা করেন। এই টাকা দিয়েছিল টারজান মনির নামের এক মাদক ব্যবসায়ী। টারজান মনির মেরুল বাড্ডা এলাকায় গাঁজার স্পট নিয়ন্ত্রণ করতেন। তিনি সপ্তাহে এক থেকে দেড় লাখ টাকা আয় করতেন।
সাজুর কাছ থেকে জানা যায়, সপ্তাহে বুধ, শুক্র ও শনিবার গাঁজার চালান মাইক্রোবাসে করে বাড্ডায় আনা হতো। গতকাল রাতে এ রকম একটি চালান আসার খবর পেয়েছিল ডিবি। এ কারণে ডিবি পুলিশের দল ভ্যান নিয়ে আফতাবনগর এলাকায় অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে মধ্যরাতে গাড়ি আফতাবনগরের দিকে আসতে থাকে। ডিবির উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। কিছুক্ষণ পর সেখানে দুজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া দুইজনকে জীবিত অবস্থায় গ্রেফতার করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :