আসিফুজ্জামান পৃথিল : নিজ দল কনজারভেটিভ পার্টির এমপিদের ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন ইউরোপিয় ইউনিয়নের সঙ্গে করা তার ব্রেক্সিট চুক্তি পাশ হলে পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরুর আগেই পদত্যাগ করবেন তিনি। এই কথা জানিয়ে তিনি তার চুক্তিকে সমর্থন করতে ব্রিটিশ এমপিদের প্রতি আকুল আবেদন জানান। থেরেসা মে জানিয়েছেন, আগের পরিকল্পিত সময়ের আগেই তিনি ক্ষমতা ছাড়বেন। এদিকে ব্রেক্সিট বিষয়ে ৮টি আলাদা বিকল্পে ভোট দিয়েছেন ব্রিটিশ এমপিরা। লন্ডন সময় রাত ৯টায় (বাংলাদেশ সময় ভোর ৩টা) এর ফলাফল প্রকাশের কথা ছিলো। বিবিসি, সিএনএন, গার্ডিয়ান, ডেইলি মেইল।
ব্যাকবেঞ্চার এমপিদের থেরেসা বলেছেন, আমি আমার পরিকল্পনার আগেই এই চাকরি ছাড়বো। আমাদের দেশ এবং দলের ভালোর জন্যই এটি আমি করবো।’ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পরবর্তী ব্রেক্সিট দরকষাকষিতে তিনি থাকলে এমপিদের সমর্থন পাওয়া যাবে না এটি তিনি জানেন। তাই তিনি এর পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে চান না। ১৯২২ কমিটির এই বৈঠকে তিনি অবশ্য তার পদত্যাগের দিন ক্ষণ জানাননি। বিবিসির রাজনৈতিক সম্পাদক লরা কুনসেনবার্গ বলেছেন টোরি পার্টিতে মে মাসে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দীতা তৈরী হতে পারে। ডাউনিং স্ট্রিট জানিয়েছে পার্লামেন্ট যদি এবার চুক্তি পাশ না করে তবে খেলার ধরণ বদলে যাবে।
৩০০ এরর কাছাকাছি টোরি এমপির উদ্দেশ্যে থেরেসা বলেছেন, ‘ব্রেক্সিট করতে হলে আমাদের চুক্তি করতেই হবে। আমি এই কক্ষের সবাইকে বলবো আমাদের ঐতিহাসিক দায়িত্ব সম্পন্নের পথে এই চুক্তিতে সমর্থন দিতে। যুক্তরাজ্যের জনগন যেই সিদ্ধান্ত দিয়েছে তা আমাদের পুরণ করতেই হবে। এই ঘটনার পর বিরোধী দলীয় নেতা জেরেমি করবিন একটি টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘এই ঘটনায় বোঝা যায়, ব্রেক্সিটের সকল দরকষাকষি আসলে পার্টিকে ম্যানেজ করতে করা হচ্ছে। এরসঙ্গে জনস্বার্থের কোন সম্পর্ক নেই।’
এর আগে পার্লামেন্টে কনজারভেটিভ রাজনীতিবীদ পিটার পিটার বটমলে বলেছিলেন, থেরেসার চুক্তিটি পাশ হয়নি কারণ তিনি লেবার, হার্ড ব্রেক্সিটার এবং রিমেইরারদের সমর্থন পারনি। তবে দেশ তার পাশেই আছে। এর জবাবে থেরেসা বলেন, ‘গণভোটের ফলাফলের উপর ভিত্তি করে সরকারের দায়িত্ব হলো উইথড্রয়াল চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করা। এটি পার্লামেন্টে পাশ করা যায়নি কারণ ৩টি ভিন্ন ভিন্ন গ্রুপ নিজ নিজ স্বার্থে এর বিরোধীতা করছে। আমি এই বার্তা নিয়মিতভাবেই দেশের জনগনের কাছ থেকে পাচ্ছি। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :