রবিউল আলম : মূলত কোটা আন্দোলন থেকেই জন্ম নুরুল হক নূরের। এই কোটা আন্দোলন নিয়ে অনেক রাজনীতি হয়েছে। অনেক কথাবার্তা, আলাপ-আলোচনার পর কোটা বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সরকার জনমত মূল্যায়ন করেছে এবং সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে আমাদের মনে রাখতে হবে রাজনীতি ছাড়া দেশের জন্য ভালো-মন্দ কিছু করা যায় না। এই চিরসত্য অনুধাবন করেই হয়তো নুরুল হক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ভিপি পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
নির্বাচন চলাকালে ডান, বাম, শিবির, প্রগতিশীলসহ বিভিন্ন প্রতিদ্ব›দ্বীদের মধ্যে একমাত্র বিরোধী ছিলো নূর। নূরকে প্রতিদ্ব›দ্বী ভেবে ডাকসুর নির্বাচনী রাজনীতি এগিয়েছিলো। বাধা হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সবাই যখন নূরকে নিয়ে রাজনৈতিক ছক আঁকতে ব্যস্ত তখন প্রধানমন্ত্রী নুরুল হকের প্রতিই আস্থা রাখলেন, ছাত্রদের সর্বাত্মক সেবা ও অধিকার আদায়ের জন্য। আমাদের ডান, বাম, মৌলবাদের রাজনীতির ব্যর্থ নায়করা এখন নুরুল হক নূরের কাঁধে চড়ে রাজনীতি করার মনোবাসনা পোষণ করছেন। নিজেদের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক ব্যর্থতার জ্বালা নুরুল হকের ওপর দিয়ে মেটাতে চাইছেন সুকৌশলে।
প্রশ্ন হচ্ছে, নুরুল হক কী রাজনীতির হাতিয়ার হবেন, নাকি ছাত্রসেবায় নিজেকে নিয়োজিত করবেন? আজ যারা তাকে নিয়ে হাস্যকর গল্প রচনা করছেন, আদেশ-উপদেশের সুরে কথা বলছেন, তাদের আমরা সবাই চিনি ও জানি। সেই তারা অতীতে রাজনীতির ইতিহাসকে করেছেন কলঙ্কিত, পরের টাকা লুট করে গরিবদের দান করার নাটকও মঞ্চায়িত করেছেনÑতাদের নাম উল্লেখ করতে চাই না। অনেক নেতা কারাবরণ অবস্থাতেও মৃত্যুবরণ করেছেন ডাকাতির মামলার আসামি হয়ে। নুরুল হক কী অতিবিপ্লবী হয়ে আরো একটি ইতিহাস সৃষ্টি করবেন, নাকি নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র আন্দোলন করে, ছাত্রদের কাছে প্রিয় ছাত্রনেতার আসন গ্রহণ করবেনÑএর উত্তর পেতে আমাদের কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
লেখক : মহাসচিব, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি
আপনার মতামত লিখুন :