আল-আমিন : মানবতার নবী হযরত মুহাম্মদ সা. অগণিত ঘোষণা ও হেদায়াতের মাধ্যমে প্রতিবেশীদের যাবতীয় অধিকার স্পষ্ট করে তুলে ধরেছেন স্বীয় অনুসারীদের মাঝে। হযরত আয়েশা রাযি. এবং হযরত ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সা. ইরশাদ করেন- ‘জিবরাঈল আ. প্রতিবেশীর হকের ব্যাপারে আমাকে বারবার সতর্ক করতেন, তাগিদ দিতেন। এমনকি আমি মনে করতে লাগলাম, তিনি বোধহয় প্রতিবেশীকে উত্তরাধিকার ঘোষণা করে দেবেন।’ (বুখারী-৫৬৬৯, মুসলিম-২৬২৫)
প্রতিবেশীর হক এবং তাদের সাথে সদাচরণের ব্যাপারে হযরত জিবরাঈল আ. আল্লাহর পক্ষ থেকে উপর্যুপরি হুকুম নিয়ে আসতেন এবং এ ব্যাপারে ভীষণ গুরুত্বারোপ করতেন। এতে রাসূল সা. এর মনে হলো, হতে পারে তাকে উত্তরাধিকারও বানিয়ে দেওয়া হবে। অর্থাৎ কারো মৃত্যুর পর তার পিতা-মাতা এবং সন্তান-সন্তুতির মত প্রতিবেশীও তার পরিত্যাক্ত সম্পত্তির অংশীদার গণ্য হবে। হযরত আনাস রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সা. বলেন- ‘ওই ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না যার অনিষ্টতা থেকে তার প্রতিবেশী নিরাপদ নয়।’ (মুসলিম-১৮১) হযরত জাবের রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সা. ইরশাদ করেন- ‘তোমাদের কেউ যখন তরকারী রান্না করে সে যেন ঝোল বাড়িয়ে দেয়। যাতে করে তার প্রতিবেশীকেও এখান থেকে কিছু দিতে পারে।’ (আল মু’জামুল আওসাত লিত ত্বাবরানী-৩৫৯১)
হযরত আনাস রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সা. ইরশাদ করেন- ‘ওই ব্যক্তি মুমিন নয় যে পেটপুরে খেয়ে সুখনিদ্রায় সকাল করলো; অথচ সে জানে তারই প্রতিবেশী না খেয়ে অনাহার অনিদ্রায় রাত কাটিয়েছে।’ (আল মু’জামুল কাবীর লিত ত্বাবরানী-৭৫১)
আপনার মতামত লিখুন :