জাবের হোসেন : উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে দূষণ সহায়ক শিল্পকারখানা চলছে রাজধুনীর হাজারীবাগে। এলাকাজুড়ে বিক্রি হচ্ছে চামড়া প্রক্রিয়াকরণে প্রয়োজনীয় সব ধরণের রাসায়নিক। অবাধে ব্যবসা করছে শতাধিক রাসায়নিকের দোকান। নিয়মিত চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে আমদানি করা রাসায়নিকবাহী ট্রাক আনলোডও হচ্ছে এখানে। শ্রমিকরা বলেন, বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল আছে এখানে। তবে কি কেমিক্যাল তা বলতে পারবো না। সময় টিভি
প্রতিটি কারখানায় শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় আড়াইশ। কারখানায় প্রবেশের বিষয়টি নিষিদ্ধ থাকায় কি ধরণের কর্মকাÐ চলে এসব কারখানায় তা দেখার উপায় নেই। তবে চলমান দূষণের সবচেয়ে বড় সাক্ষী হাজারীবাগের স্যুয়ারেজ লাইনগুলো। রাসায়নিক মিশ্রিত বিভিন্ন রঙের দূষিত পানির অস্তিত্ব।
ব্যবসায়ীরা বলেন, রাসায়নিক প্রয়োজন হয় এমন কোন কাজ আমরা করছি না। দুই চারটি কারখানায় রাসায়নিক ব্যবহার হতে পারে। কিন্তু রঙ বের হওয়ার কথা না। তবে এবক্তব্যকে শুধু অজুহাত হিসেবেই দেখছেন পরিবেশবিদরা। শিগগিরই কারখানাগুলো সিলগালা করার আহ্বান তাদের। পানি বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত বলেন, বড় ব্যবসায়ীরা আইন অবজ্ঞা করছে না। কিন্তু ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা তা করছে। তারা রাতারাতি বড় লোক হতে চায়। এদের কৈফিয়ত গ্রহণযোগ্য নয়। সংবিধানে আছে প্রকৃতিকে রক্ষা করতে হবে যারা প্রকৃতি নষ্ট করছে তাদের শাস্তি দিতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :