শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ২৭ মার্চ, ২০১৯, ০৬:৩৯ সকাল
আপডেট : ২৭ মার্চ, ২০১৯, ০৬:৩৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

খোকন আহম্মেদ হীরা, বরিশাল :  স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ না নেয়া শিক্ষার্থীদের বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রাজাকারের বাচ্চা বলায় শিক্ষার্থীরা তার বক্তব্য প্রত্যাহার ও ক্ষমা চাওয়াসহ পাঁচ দফা দাবীতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান ধর্মঘট করে বিক্ষোভ করছে। বুধবার সকাল ১০টা থেকে চলা এ বিক্ষোভে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেছে শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষোভে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা জানান, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে ক্যাম্পাসে বৈকালিক চা চক্র ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। তবে ওই অনুষ্ঠান সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের কিছুই জানানো হয়নি। এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানের বাইরে প্রতিবাদ জানায়। এতে ভিসি ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীদের রাজাকারের বাচ্চা বলেন। এরই প্রতিবাদে এবং ভিসির ওই উক্তি প্রত্যাহারের দাবীতে বুধবার সকাল থেকে ক্লাশ ও পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। এ আন্দোলনের সাথে তারা (শিক্ষার্থীরা) আরও ৫ দফা দাবী যুক্ত করেছে। এরমধ্যে রয়েছে টিএসসি’তে পাঠদান না করানো, সেমিনার রুমের ভাড়া তিন হাজার টাকা থেকে কমিয়ে পাঁচশ’ টাকা করা এবং সকল জাতীয় দিবস শিক্ষক-শিক্ষার্থী সমন্ময়ে উদ্যাপন করা।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য প্রফেসর ড. এসএম ইমামুল হক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান পন্ড করার পায়তারা করে। যারা স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান পন্ড করার পায়তারা করে তারা রাজাকার না তো কি? এখন কি তিনি শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাইবেন? এটা কি হতে পারে?

তিনি আরও বলেন, আন্দোলনকারীদের মধ্যে জামায়াত-শিবির ঢুকে গেছে এবং তাদের ইন্ধনেই কিছু শিক্ষার্থী আন্দোলনের নামে অরজকতা করছে। বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে সবগুলো বিভাগের চেয়ারম্যানকে ডেকে পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষন করতে এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়