নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি মৌসুমের প্রিমিয়ার লিগ দশম রাউন্ডে পা রাখতে চলেছে। এরই মধ্যে সাইফ স্পোর্টিং-চট্টগ্রাম আবাহনীর গোলশূন্য ড্র ম্যাচটি নিয়ে পাতানোর গুঞ্জন এনে তা খতিয়ে দেখছে বাফুফে। পাতানো খেলা শনাক্তকরণ কমিটি এ নিয়ে কথাও বলেছে দুই দলের চার ফুটবলারের সঙ্গে। সাইফের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া ও আবাহনীর অধিনায়ক মোনায়েম খান রাজুকে ডাকা হয়েছিল বক্তব্য শোনার জন্য।
নিজের দলের বিপক্ষে পাতানো ম্যাচের অভিযোগে খুবই হতাশা প্রকাশ করেছেন জামাল ভূঁইয়া। খবরটি প্রথমে শোনার পর অবাকও হয়েছিলেন তিনি, ‘অবাক হয়েছি আমাদের একটি ম্যাচ পাতানোর সন্দেহের তালিকায় আছে দেখে। সাইফে গত দুই বছর ধরে খেলছি, কখনোই দেখিনি দল অনৈতিক কাজ করেছে। যেহেতু লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন হওয়া, তাই আমরা সব ম্যাচই জিততে চাই। সবসময় খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ পেশাদারত্বই দেখেছি।’
সাইফের বিপক্ষে পাতানো ম্যাচের অভিযোগ ওঠায় রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন জামাল, ‘মাঠের বাইরে যা হয়, মাঠের বাইরেই রাখতে হবে। খেলার মধ্যে এগুলো আনা যাবে না। খেলোয়াড়দের তাদের মতো খেলতে দেওয়া উচিত।’
কিন্তু কী সেই রাজনীতি? জবাবে নির্দিষ্ট করে বলতে ইচ্ছুক ডেনমার্কে বেড়ে ওঠার পরও বাংলাদেশের ফুটবলে এসে থিতু হওয়া এই মিডফিল্ডার, ‘সবাই জানে রাজনীতিটা কী। এই ব্যাপারে কিছু বলতে চাই না। সেগুলো নিয়ে ভাবা আমার কাজও নয়। আমার কাজ ফুটবল খেলা। কিন্তু আমার দলের বিপক্ষে অভিযোগ উঠলে অধিনায়ক হিসেবে কষ্ট তো লাগে।’
চার ফুটবলারের মধ্যে অভিযুক্তের তালিকায় আছেন সাইফের দুই তরুণ জাফর ইকবাল ও ইয়াসিন আরাফাত । দুজন বর্তমানে বাহরাইনে অনুষ্ঠিত এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ বাছাইপর্বের বাংলাদেশ দলের সঙ্গে আছেন। এ ধরনের অভিযোগে তরুণদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়তে পারে বলে মনে করেন জাতীয় দলের অধিনায়ক, ‘জাফর ও ইয়াসিন তরুণ খেলোয়াড়। বিশেষ করে ইয়াসিন এ বছরই প্রথম লিগে খেলতে এসেছে। নিষ্পাপ একটা ছেলে। তাদের এগুলোর বাইরে রাখতে হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :