শাহানুজ্জামান টিটু : বিএনপির রাজনীতি কোন পথে এই প্রশ্ন যখন ঘুরপাক খাচ্ছে তখন দলের বর্তমান নেতারা দলকে সংগঠিত করে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সময় চান। নীতিনির্ধারকদের মতের ভিন্নতা রয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ বলছেন, বিএনপিতে সিদ্ধান্তহীনতা নেই, সঠিক পথেই চলছে দল। আর আরেকটি পক্ষ বলছেন, দল অতিমাত্রায় পরনির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। এখান থেকে বের হতে না পারলে আরো বেশী সংকটে পড়তে পারে বিএনপি। না পারলে দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার কথাও বলেছেন কেউ কেউ। যারা পারবেন তাদেরকে দিয়ে দল পূর্ণগঠন করাটা জরুরি বলে মনে করেন তারা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের মধ্যে বিভেদের কথা উড়িয়ে দিয়ে বলেন, দলের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ আলোচনার মানে এই নয় যে দ্বন্দ্ব আছে। সবার মতামত নিয়ে দল পরিচালিত হচ্ছে। তবে হতাশ হওয়ার মত কিছু নেই।
স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, একাদশ নির্বাচনের পর বিএনপি একটু সময় নিচ্ছে। কারণ দল পুর্ণগঠনের কাজ চলছে। বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর গঠন প্রক্রিয়া শেষ হলেই বিএনপি পরবর্তী করনীয় নির্ধারণ করবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র বলেছেন নেতৃত্বে পূর্নগঠন দরকার। যতদ্রুত সম্ভব নেতৃত্বের রদ বদলের মধ্য দিয়ে সঠিক ও সক্রিয় নেতৃত্বে জনগণের সামনে নিয়ে আসতে হবে।
বিএনপির রাজনীতি নিয়ে যারা খুবই চিন্তিত তাদের উদ্দেশ্যে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিএনপিতে কোনো সংকট নেই। বিএনপি সঠিক পথেই চলছে।
দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমানের মতে, যাই কিছু হোক, নীতিনির্ধারনী ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তহীনতাও নেই। তবে যেটা হচ্ছে নির্বাচন পরবর্তী কর্মকৌশল প্রণয়নে একটু সময় নেওয়া হচ্ছে। হাজার হাজার মামলায় জর্জড়িত নেতাকর্মীদের জামিনে মুক্তির বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি দল পুনর্গঠনের কাজও চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :