শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ২৫ মার্চ, ২০১৯, ০২:৩৬ রাত
আপডেট : ২৫ মার্চ, ২০১৯, ০২:৩৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আমার হাত পা বাঁধা, আমি কথা বলতে পারিনা: এরশাদ

নিউজ ডেস্ক : এরশাদ এখন জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের নেতা। এর আগের মেয়াদে তিনি ছিলেন মন্ত্রীর মর্যাদার প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত। তাঁর কথাই জাতীয় পার্টিতে শেষ কথা। কিন্তু তারপরও ‘সুখ’ নেই এরশাদের। সুযোগ পেলেই তিনি বলেন, ‘আমার হাত পা বাঁধা। আমি বন্দী। আমি কথা বলতে পারি না।’ কি কারণে এরশাদ ক্ষণে ক্ষণে একথা বলেন? কেনই বা তিনি ক্ষণে ক্ষণে রং বদলান? এরশাদের ঘনিষ্ঠরা বলেন ‘মঞ্জুর হত্যা মামলার জন্যই এরশাদ বন্দী।’ ১৯৮১ সালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে এক সেনা অভ্যুত্থানে নিহত হন জিয়াউর রহমান। জিয়া হত্যায় অভিযুক্ত হন তৎকালীন চট্টগ্রামের জিওসি মেজর জেনারেল মঞ্জুর। জেনারেল মঞ্জুর ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা। অভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়। জেনারেল মঞ্জুরকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় নিয়ে আসার পথে একদল সেনা কর্মকর্তার হাতে তিনি নিহত হন।

অনেকেই মনে করেন, জিয়া হত্যার মূল রহস্য আড়াল করতেই মঞ্জুরকে হত্যা করা হয়েছিল। এরশাদ তখন ছিলেন সেনাপ্রধান। ৮৪ সালে এরশাদবিরোধী আন্দোলনের একপর্যায়ে বিএনপি অভিযোগ করে যে, জিয়া হত্যায় এরশাদের হাত রয়েছে। জিয়া হত্যার প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতেই জেনারেল মঞ্জুরকে হত্যা করা হয় এরশাদের নির্দেশে। যদিও বরাবরই এরশাদ এই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন। ৯১ এর নির্বাচনে জয়ী হয় বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি। বিএনপি ক্ষমতায় এসে মঞ্জুর হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত শুরু করে। তদন্তের প্রেক্ষিতে নতুন করে চালু হয় মঞ্জুর হত্যা মামলা। এই মামলার অন্যতম আসামি করা হয় হুসেইন মুহাম্মাদ এরশাদকে। এরপর ২৭ বছর ধরে এই মামলা চলছে। মামলার রায়ের তারিখও ঘোষণা হয়েছিল। কিন্তু তারিখের দিন আবার মামলা পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।

বলা হয় মঞ্জুর হত্যা মামলাই এরশাদকে বশীকরণের চাবি। যখন যে দল ক্ষমতায় এসেছে, সেই দলই এরশাদকে ‘অনুগত’ এবং একান্ত বাধ্যগত রাখতে এই মামলা ব্যবহার করেছে। এরশাদ যখনই ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে কিছু বলে বা একটু নড়াচড়া করে তখনই মঞ্জুর হত্যা মামলা সচল হয়। এরশাদ অমনি সুবোধ বালক হয়ে সরকারের গুণকীর্তন করতে থাকেন। সব দলকেই সমর্থনের শর্ত হিসেবে এরশাদ এই মামলা থেকে পরিত্রাণ চান। তাকে আশ্বাসও দেওয়া হয়। কিন্তু ক্ষমতায় যে দলই যায় সেই দলই এরশাদের জীবনকাঠি হাতছাড়া করেন না।

এই মামলার একজন কৌশুলী বলেন, জেনারেল মঞ্জুর যখন গ্রেপ্তার হন এবং তাকে ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হচ্ছিলো, তখন এরশাদ সেনাপ্রধান ছিলেন। তাই তিনি দায় এড়াতে পারেন না। এরশাদ গত ২৫ বছর ধরে এই মামলা থেকে মুক্তির জন্য হাসফাঁস করছেন। এখন এই মামলা দিয়েই এরশাদকে রওশন কাবু করেছেন বলে জাতীয় পার্টিতে গুঞ্জন। জাতীয় পার্টির একাধিক সূত্র বলেছেন, রওশন কথা দিয়েছেন যে জিএম কাদেরকে হটিয়ে তাকে দল চালাতে দিলে তিনি এরশাদকে মঞ্জুর হত্যা মামলার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করবেন। জানা যায়, রওশন এটাও বলেছেন, জিএম কাদের কো-চেয়ার এবং উপনেতা থাকলে মঞ্জুর হত্যা মামলা চলবে। এ কারণেই এরশাদ তড়িঘড়ি করে রাতের আধারে দলে ক্যু করেছেন বলে জাপার একাধিক নেতা মনে করেন। এরশাদকে ‘মুক্ত’ করার শর্তেই রওশন জাতীয় পার্টির চাবি পেয়েছেন। রওশন কি পারবেন এরশাদকে মুক্ত করতে? সূত্র: বাংলা ইনসাইডার

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়