সাইদুর রহমান: বিশ্বজুড়ে ২৪ মার্চ পালিত হচ্ছে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস। সারা বিশ্বের দশটি মৃত্যুজনিত কারণের মধ্যে যক্ষ্মা অন্যতম। আর বিশ্বের এক চতুর্থাংশ মানুষের দেহে এই রোগ সুপ্ত অবস্থায় আছে, যা সাধারণত সংক্রমণ ঘটায় না।
১৮৮২ সালের এ দিনে ড. রবার্ট কোচ যক্ষ্মা জীবাণু আবিষ্কার ও এ রোগ নির্ণয় ও নিরাময়ের পথ উন্মোচন করেন। তাকে স্মরণ করেই এই দিনটিতে যক্ষা দিবস পালিত হয়ে আসছে। যক্ষ্মা রোগের ক্ষতিকর দিক বিশেষ করে স্বাস্থ্য, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিণতি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এ দিবসটি পালিত হয়ে থাকে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, প্রতিদিন যক্ষ্মা প্রায় ৪৫০০ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে এবং এর জীবাণু প্রায় ৩০ হাজার ব্যক্তিকে আক্রান্ত করছে। তবে এ রোগ থেকে বাঁচা এবং রোগমুক্তি সম্ভব। বিশ্বজুড়ে যক্ষ্মা প্রতিরোধ সচেতনেতার কারণে ২০০০ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৫৪ মিলিয়ন মানুষের জীবন রক্ষা করা গেছে এবং এ রোগে মৃত্যুর হার ৪২ শতাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
ডব্লিউএইচ মোতাবেক, চিকিৎসা সেবা বৃদ্ধি, জনসচেতেনতা, পর্যাপ্ত অর্থায়ন, ব্যাপক প্রচার এবং আক্রান্তদের প্রতি হেয়প্রতিপন্ন না এবং এবং আক্রান্ত হলেই দ্রুত সেবা প্রদানে এগিয়ে আসলে এ রোগ প্রতিরোধ সম্ভব।
জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির (এনটিপি) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালে এনটিপির মাধ্যমে বাংলাদেশে ২ লাখ ৪৪ হাজার ২০১ জন যক্ষা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি সরকারিভাবে তাদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ১৫ বছরের কম বয়সী শিশু যক্ষা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১০ হাজার ১৮৯ জন।
দেশে এখন এক্সটেনসিভলি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট রোগীর সংখ্যা মাত্র ১২ জন। যক্ষ্মা বিষয়ক এক সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা বললেন, এই রোগের চিকিৎসায় বাংলাদেশ অনেক দেশের তুলনায় ভালো করছে।
দেশে এগারো’শো একত্রিশটি ল্যাবরেটরি, চল্লিশটি ইকিউ ল্যাবরেটরি এবং একশো তিরানব্বইটি জিন এক্সপার্টের মাধ্যমে যক্ষা নিয়ন্ত্রণ চলছে। আর চিকিৎসা আছে জেলা ও উপজেলার সব চিকিৎসালয়ে। সূত্র: ডব্লিউএইচও, আল-জাজিরা
আপনার মতামত লিখুন :