শিমুল মাহমুদ : বিএনপি'র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, পতনের এক সপ্তাহ আগে স্বৈরাশাসক আইয়ুব খান, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বুঝে নাই, তার পতন হবে। এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বুঝতে পারছেন না। হঠাৎ করে তিনি দেখবেন তার পতন হয়ে গেছে। দেশের সব জনগণ রাস্তায় নেমে এসেছে। এটা হবে দেশের তৃতীয় গণ-অভ্যুত্থান। রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দুদু বলেন, নির্বাচন কি জিনিস ব্রিটিশ আমল, পাকিস্তান আমলে মানুষ দেখেছে। শেখ হাসিনার আমলে নির্বাচন নামে যে নির্বাচনের নামে তামাশা হয়েছে এর আগে কোন সরকারের আমলে মানুষ দেখেনি। নির্বাচন নিযে তামাশা হানাদার বাহিনী, পাকিস্তানি বাহিনী, ব্রিটিশ কেউ পারেনি। কিন্তু শেখ হাসিনা পেরেছে।
আইনের শাসন থাকায় রাস্তায় হত্যা বেড়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সরকার বেগম জিয়াকে সারা জীবন জেলে রাখবে এটা সম্ভব না। কোনোকালেই সম্ভব নয়। সামরিক ভাবে আটকে রাখতে পারেন। তিনি বের হবেন, শুধু বের হবেন না। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করবে।
কৃষক দলের আহবায়ক বলেন, যে পার্লামেন্টের জন্য মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেছিল। সেই পার্লামেন্ট এখন দুর্নীতির প্রতীক। এই পার্লামেন্ট বঙ্গভবন, গণভবন প্রশ্নের মুখে। বর্তমানে যারা পার্লামেন্টে আছেন, তাদের স্ত্রী,সন্তান তাদের দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলে চোরটা আবার ঘরে এসেছে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল প্রধানমন্ত্রী, গায়ের জোরে সবকিছু দেখতে পারেন। বিএনপি'র নেতা-কর্মীদের কিভাবে জেলে ডুকাতে হয়। নির্যাতন করতে হয় তা দেখতে পারেন। কিন্তু শিক্ষকদের যে সমস্যা তার নজরে আসেনা।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, হতাশ হওয়ার কিছু নাই। বেগম জিয়া, তারেক রহমান আছে। বিএনপি আছে, দেশের মানুষ তাদের উপর ভরসা করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে।
শামসুজ্জামান দুদু,আমাদের শিক্ষকরা যারা মানুষ গড়ার কারিগর। তারা প্রায় এক সপ্তাহ ধরে শিক্ষা মন্ত্রী সাথে কথা বলার চেষ্টা করছে। প্রেসক্লাবের সামনের রাত্রিযাপন করছেন। অথচ শিক্ষামন্ত্রী ১৫/২০ হাত দূরে থেকেও শিক্ষকদের কথা শুনছেন না।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির যুগ্ম- মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কৃষক দলের যুগ্ন-আহ্বায়ক নাজিম উদ্দিন মাস্টার, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা আকতার হোসেন বাচ্চু,আজম খান, কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিয়া মোহাম্মাদ আনোয়ার প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :