শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ২৪ মার্চ, ২০১৯, ০৭:৪৫ সকাল
আপডেট : ২৪ মার্চ, ২০১৯, ০৭:৪৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘সংঙ্গীতের একজন বড় মাপের অ্যাম্বাসেডর হারালাম’

মহিব আল হাসান : জয় বাংলা , বাংলার জয় দেশাত্ববোধক ও জাগরণমূলক একটি গান। গাজী মাজহারুল আনোয়ার ১৯৭০ সালে এই গানটি রচনা করেন। সেসময় গাজী মাজহারুল আনোয়ার তৎকালীন বাংলার সাড়ে সাট কোটি বাঙালির বঞ্চনা-দুর্দশা আর স্বপ্ন-স্বাধীনতার বিষয় চিন্তা করে লিখেছিলেন। এই গানটি বাঙালি জাতিরকে মুক্তিযুদ্ধের সময় উদ্বুদ্ধ করেছিল। আর এই গানে কন্ঠ দিয়েছিলেন সদ্র প্রয়াত কণ্ঠশিল্পী শাহনাজ রহমত উল্লাহ।

শুধু এ গানটিই নয়, গাজী মাজহারুল আনোয়ারের অসংখ্য এরকম গানে কন্ঠ দিয়েছিলেন তিনি। প্রিয় এই শিল্পীর শেষ শ্রদ্ধা জানাতে শাহনাজ রহমত উল্লাহর বাড়িধারায় এসেছিলেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার। সেখানেই গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি।

শাহনাজ রহমত উল্লাহ প্রসঙ্গে গাজী মাজহারুল আনোয়ার বলেন, একজন বড় মাপের অ্যাম্বাসেডেরেরকে হারালাম। ভারতের দিকে তাকালে দেখবেন , লতা মঙ্গেশকরের নাম বললেই সারা বিশ্ব তাকে এক নামে চেনে। পাকিস্তানি নুরজাহানের নাম বললে সারা পৃথিবী এক নামে তাকে চেনে। তেমনি বাংলাদেশের কিছু শিল্পী আছে যাদের ব্যাপ্তি সারা পৃথিবী জুড়ে। তাদের নাম বললে সারা পৃথিবী চিনবে। তাদের মধ্যে শাহনাজ রহমত উল্লাহ ছিলেন একজন।

গাজী মাজহার আরও জানান, স্বাধীনতা যুদ্ধে শিল্পীদের ভুমিকা ভুলবার নয়, শিল্পীদের অবদান কোনো অংশে কম নয়। শিল্পীরা যুদ্ধটা হয়তো শারীরিকভাবে করিনি তবে গানের মাধ্যমে আমরা এর প্রতিফল করেছি। স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে দাবি করছি নিজেদের, সে দাবীর পেছনে আমরা মনে করি সংগীত অঙ্গনের মানুষের ভূমিকা অত্যন্ত স্পষ্ট। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে আমরা প্রচার করতাম ‘জয় বাংলা বাংলার জয়/জয় বাংলা বাংলার জয়/হবে হবে হবে, হবে নিশ্চয়/কোটি প্রাণ এক সাথে জেগেছে অন্ধরাতে/নতুন সূর্য ওঠার এই তো সময়’। আমারই লেখা এরকম আরো বেশ কিছু গান। এই গানগুলোও ছিলো স্বাধীনতা যুদ্ধের অনুপেরণা। সব গান গুলোর মধ্যে শাহনাজ রহমত উল্লহ ও আব্দুল জব্বারের কন্ঠ ছিল এবং এরকম আরো বহু শিল্পীর কন্ঠ ছিল। তাদেরকে হারিয়ে ফেলা সত্যিই বেদনাদায়ক।

বাংলা গানের কিংবদন্তি শিল্পী শাহনাজ রহমত উল্লাহর জানাজা যোহরের নামাজের পর বারিধারা পার্ক মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন তার স্বামী মেজর (অব.) আবুল বাশার রহমত উল্লাহ। ব্যক্তি জীবনে শাহনাজ রহমত উল্লাহ এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। মেয়ে নাহিদ রহমত উল্লাহ থাকেন লন্ডনে আর ছেলে এ কে এম সায়েফ রহমত উল্লাহথাকেন কানাডায়। শাহনাজ রহমত উল্লাহর ভাই আনোয়ার পারভেজ ছিলেন এদেশের প্রখ্যাত একজন সুরকার এবং সংগীত পরিচালক। আরেক ভাই জাফর ইকবাল ছিলেন চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়ক।

এক নদী রক্ত পেরিয়ে, একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়ে, একতারা তুই দেশের কথা বলরে এবার বল্, প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ-এর মতো বেশকিছু দেশাত্মবোধক গান গেয়েছেন। বিবিসির জরিপে সর্বকালের সেরা ২০টি বাংলা গানের তালিকায় শাহনাজ রহমত উল্লাহ’র গাওয়া চারটি গান স্থান পায়

গান গেয়ে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয়ী এই সংগীতশিল্পীকে ১৯৯২ সালে একুশে পদক দেয়া হয়। ২০১৬ সালে ‘চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড’-এর আয়োজনে আজীবন সম্মাননা জানানো হয় গুণী এই শিল্পীকে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়