মারুফুল আলম : সিরিয়ার বাঘুসে পরাজয়ের মধ্যে দিয়ে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) ৫ বছরের খিলাফতের অবসান হয়েছে বলে দাবি করেছে মার্কিন সমর্থিত সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস বা এসডিএফ। বাঘুসে ছিলো আইএসের শেষ ঘাঁটি। তবে এখনো তাদের পুনর্গঠিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে শঙ্কা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে। বিবিসি।
হোয়াইট হাউজ আগেই জানিয়েছে, তারা সিরিয়ায় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ৪০০ শান্তিরক্ষী রাখবে। ইরাকে গোপনে জিহাদিরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে এমন তথ্য এসেছে জাতিসংঘ মহাসচিবের ফেব্রুয়ারির রিপোর্টে।
রিপোর্টে বলা হয়, প্রত্যন্ত অঞ্চলে সংগঠিত হচ্ছে আইএস জঙ্গিরা। মরুভূমি ও পার্বত্য এলাকাগুলোতে তারা কাজ করে যেখানে যাতায়াত ও হামলার পরিকল্পনা তাদের জন্য সহজ। আইএস নেটওয়ার্ক সিরিয়াতেও ইরাকের মতো করেই দেখা দিতে পারে। ইউফ্রেতিস উপত্যকায় ইদলিব প্রদেশের উত্তর পশ্চিমে তাদের উপস্থিতি রয়েছে। এমনকি রাজধানী দামেস্কের দক্ষিণে ও দক্ষিণ পূর্ব সিরিয়াতেও।
মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের ধারণা, জঙ্গিদের হাতে এখন ভারী অস্ত্র আছে এবং তারা দেশজুড়ে হত্যাকাণ্ড ঘটাতে সক্ষম। এমনকি জঙ্গিদের ওপর পূর্ণ কর্তৃত্ব আছে তাদের নেতাদের। তাদের মূল নেতা আবু বকর আল বাগদাদীর অবস্থান এখনো অজানা। অপরাধ কার্যক্রমের মাধ্যমে অর্থ আয়ও তাদের হচ্ছে এবং পাশাপাশি পাচ্ছে নানা ডোনেশনও।
বড় ধরণের পরাজয় হলেও জাতিসংঘ মহাসচিবের দেয়া তথ্যমতে, আইএসের এখনো ১৪ থেকে ১৮ হাজার জঙ্গি আছে ইরাক ও সিরিয়ায়। এর মধ্যে বিদেশী আছে ৩ হাজারের মতো। এছাড়াও আইএস এর সহযোগী জঙ্গি ছড়িয়ে আছে আফগানিস্তান, লিবিয়া, মিসর ও আফ্রিকার বিভিন্ন এলাকায়। সুন্নি আরব জঙ্গিরা ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের পর আইএস গঠন করেছিলো এবং পরে এটিই বৃহৎ শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়।
২০১১ সালে তারা সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ বিরোধীদের সঙ্গে যোগ দেয়। ফলে সেখানেই তারা বড় আশ্রয় পেয়ে যায় এবং অস্ত্র পাওয়ার ক্ষেত্রেও সুবিধাজনক অবস্থায় চলে যায়। পরে ইরাক থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার হলে সেটিও তাদের জন্য সহায়ক হয়ে দাঁড়ায়। ২০১৩ সালে তারা সিরিয়ায় ভূখণ্ড দখল শুরু করে এবং পরের বছরই নানা জায়গায় খেলাফত ঘোষণা করে।
আপনার মতামত লিখুন :