শিরোনাম
◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা ◈ জনগণকে সংগঠিত করে চূড়ান্তভাবে বিজয় অর্জন করতে হবে: মির্জা ফখরুল ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের 

প্রকাশিত : ২৪ মার্চ, ২০১৯, ০৪:০৫ সকাল
আপডেট : ২৪ মার্চ, ২০১৯, ০৪:০৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

উপজেলা নির্বাচনের একতরফা আনুষ্ঠানিকতা হাইকোর্টকে ধন্যবাদ, ডাকসুকে অভিনন্দন

প্রভাষ আমিন : ১. বাংলাদেশে নির্বাচন মানেই উৎসব, উত্তেজনা। কিন্তু অনেকদিন হলো নির্বাচন থেকে উৎসবটা হারিয়ে গেছে। নেই উত্তেজনাও। দেশজুড়ে এখন চলছে উপজেলা নির্বাচন। ৫ ধাপে ৪৮০ উপজেলায় নির্বাচন হওয়ার কথা। ইতোমধ্যে দুই দফার নির্বাচন হয়েছে। আজ হচ্ছে তৃতীয় ধাপের নির্বাচন। কিন্তু কোথাও নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা নেই। নির্বাচন কমিশনের হিসাবে প্রথম ধাপে ভোট দিয়েছে ৪৩ দশমিক ৩২ ভাগ ভোটার, দ্বিতীয় ধাপে আরো কম, মাত্র ৪১ দদশমিক ২৫ ভাগ। তবে সবার ধারণা, বাস্তবে এই হার আরো কম। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় নির্বাচন হচ্ছে, একতরফা ও নিরুত্তাপ। উপজেলা নির্বাচন এখন নিছক আনুষ্ঠানিকতা। এ নিয়ে অনেকেই সমালোচনামুখর, কেউ কেউ বিব্রত। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় দিনের ভোটগ্রহণের পর নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার উপজেলা নির্বাচন নিয়ে তার হতাশা গোপন করেননি। তিনি বলেছেন, একতরফা নির্বাচনের কারণে ভোটাররা কেন্দ্রে যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। এই নির্বাচনবিমুখকতা গণতন্ত্রবিমুখকতায় পর্যবসিত হওয়ার আশঙ্কা আছে। এ অবস্থা গণতন্ত্রের জন্য অশনিসঙ্কেত। তিনি বলেছেন, নির্বাচন মানেই একাধিকের মধ্যে বাছাই। তাই যা প্রতিদ্বন্দ্বি নয়, তা নির্বাচন হয় কী করে? তিনি প্রশ্ন করেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীনদের ইলেকটেড না বলে সিলেকটেড বলা যেতে পারে কি? খুবই যৌক্তিক প্রশ্ন। কিন্তু একই দিনে পরবর্তী সময়ে এক ব্রিফিংয়ে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালউদ্দিন বলেছেন, কমিশনারের বক্তব্য তার ব্যক্তিগত। শুনে আমি খুব অবাক হয়েছি। নির্বাচন কমিশনে কার ক্ষমতা বেশি কমিশনার না সচিব? নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যে ভিন্নমত দিতে পারেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। কিন্তু সচিব কিভাবে কথা বলেন? মনে হচ্ছে, বাংলাদেশে এখন সবই সম্ভব। ধাপে ধাপে একতরফা নির্বাচন হতে পারলে, নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যকে ‘ব্যক্তিগত’ বলে সচিব উড়িয়ে দিতে পারবেন না কেন?

২. নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের রাতে স্বামী-সন্তানকে বেধে রেখে গণধর্ষণ করা হয়েছিলো এক নারীকে। সে ঘটনার মূল হোতা ছিলো স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্য রুহুল আমিন। গত ১৮ মার্চ বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি এম এম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ রুহুল আমিনকে একবছরের জামিন দেন। এ নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এ কলামেও ২৩ মার্চ শনিবার রুহুল আমিনের জামিন বাতিলের দাবি জানানো হয়েছিলো। হাইকোর্টের যে বেঞ্চ রুহুল আমিনকে একবছরের জামিন দিয়েছিল, সেই বেঞ্চই শনিবার তার জামিন আদেশ রিকল করেছে। মানে রুহুল আমিন জামিন পাচ্ছে না। শনিবার ছুটির দিনে বিশেষ ব্যবস্থায় জামিন আদেশ পুনর্বিবেচনা করতে বসে হাইকোর্টের বেঞ্চটি। রুহুল আমিনের জামিন আবেদনে তথ্য গোপন করা হয়েছিলো বলে জানা গেছে। জনআবেগকে সম্মান জানিয়ে রুহুল আমিনের জামিন রিকল করায় হাইকোর্টের বিচারপতিদের ধন্যবাদ।

৩. ডাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি নুরুল হক নূর শেষ দিন পর্যন্ত বসিয়ে রেখেছিলেন সবাইকে। ১১ মার্চ ডাকসু নির্বাচনের পর থেকেই নুরুল হক কখনো আংশিক পুননির্বাচন, কখনো পূর্ণ পুননির্বাচন দাবি করে আসছিলেন। দায়িত্ব নেয়ার বিষয়টিও তিনি ঝুলিয়ে রেখেছিলেন। পুননির্বাচনের দাবি করলেও দায়িত্ব নেয়ার ব্যাপারে তিনি বলছিলেন, শিক্ষার্থীরা চাইলে তিনি দায়িত্ব নেবেন। কিন্তু ভোট দেয়ার পর শিক্ষার্থীরা আবার কিভাবে চাইবেন, সেটা পরিষ্কার ছিলো না। এই কলামে আমি একাধিকবার লিখেছিলাম, নূর শেষ পর্যন্ত দায়িত্ব নেবেন। আমার ধারণাই সত্যি হয়েছে। শনিবার অনুষ্ঠিত ডাকসুর প্রথম বৈঠকে নুরুল হক নূরসহ নবনির্বাচিত সবাই দায়িত্ব নিয়েছেন। তবে নূর তার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন, একেবারে শেষ মুহূর্তে, ২২ মার্চ শুক্রবার। তবুও নুরুল হক নূরসহ ডাকসুর সবাইকে অভিনন্দন। প্রায় ২৯ বছর পর গঠিত ডাকসুর কাছে শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নয়, সারাদেশের মানুষের বিপুল প্রত্যাশা। আশা করি, নতুন নেতৃত্ব ডাকসুকে সচল করবেন। শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধান করবেন। গেস্টরুম কালচার দূর করবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালল ক্যাম্পাস গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল সকল শক্তির জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

লেখক : হেড অব নিউজ, এটিএন নিউজ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়