মো. তৌহিদ এলাহী : একটি বড় বাসে সর্বোচ্চ যাতায়াত করতে পারে ৫০ যাত্রী আর প্রাইভেটকারের ধারণ ক্ষমতা মাত্র ৪ জন। অথচ যাত্রী পরিবহন ক্ষমতা কম থাকলেও রাজধানীতে সড়কজুড়ে ছোটগাড়ি। একে যানজটের বড় কারন হিসেবে দেখছেন পরিবহন বিশেষজ্ঞ ও মালিক শ্রমিক নেতারা। বিআরটিএ বলছে ছোটগাড়ি নিবন্ধনে তাদের নিয়ন্ত্রন নেই। যমুনা টেলিভিশন।
শনিবার রাজধানীতে একটি সড়কের গিয়ে দেখা যায় পুরো রাস্তা জুড়ে ছোট গাড়ি। এর মধ্যে ছোট দীপের মত দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায় বড় বাস। রাস্তায় যতটুকু স্থান দখল করে আছে ছোট গাড়িগুলো সেখানে যে কটা বাস দাড়াতে পারতো তাতে করে যাত্রী পরিবহণ করা যেত ৬০০র মতো। সে হিসেবে এখানে থাকা ছোট গাড়িগুলোর যাত্রীপরিবহন ক্ষমতা দেড়শোর বেশি হবে না।
রাজধানীতে যে পরিমাণ রাস্তা প্রয়োজন তা নেই। ২৫ ভাগের জায়গায় আছে মাত্র ৭ ভাগ। এই সাতভাগের বেশিরভাগই ছোট গাড়ির দখলে।
এ বিষয়ে এক প্রাইভেটকারের চালক বলেন, ‘দরকার লাগেনা তাও মালিক কিনে রাখছে। ছেলের একটা, মেয়ের একটা। তাছাড়া ২০০২ এর আগের গাড়িগুলো বাদ দিয়ে দিতে হয়।
বিআরটিএর তথ্যানুযায়ী রাজধানীতে প্রতিবছরই বাড়ছে ছোট গাড়ির নিবন্ধন। সব মিলিয়ে প্রাইভেটকার, জিপ, মাইক্রোবাস সহ রাজধানীতে নিবন্ধিত ছোট গাড়ীর সংখ্যা ৪,৮২,২৮১টি। এর বিপরীতে বাস ও মিনিবাস আছে মাত্র ৪৪,০৬২টি।
সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনে সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী বলেন, ‘একটা শহরে কয়টা প্রাইভেটকার চলবে ? একটা পরিবারে পাঁচটা লোক থাকলে ছয়টা প্রাইভেটকার থাকে। আমাদের রেজিস্ট্রেশন নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।
ছোট গাড়ির নিবন্ধণ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে আরো কমবে রাস্তার ধারণক্ষমতা বাড়বে যানজট। বিষয়টি বিআরটিএ জানে।
আপনার মতামত লিখুন :