শিরোনাম
◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ২৪ মার্চ, ২০১৯, ০২:৪১ রাত
আপডেট : ২৪ মার্চ, ২০১৯, ০২:৪১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পঞ্চম উপজেলা নির্বাচনে শতাধিক এমপির বিরুদ্ধে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ

নিউজ ডেস্ক : পঞ্চম উপজেলা নির্বাচনে শতাধিক সংসদ সদস্যের (এমপি) বিরুদ্ধে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু মাত্র কয়েকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অভিযুক্ত এমপিদের শুধু এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু এর পর তারা কোথায়, কীভাবে, অবস্থান করছেন, আর আদৌ এলাকা ছেড়েছেন কি না, সে ব্যাপারে মনিটরিং করা হয়নি।

তবে ভোটের আগের দিন স্থানীয় এমপি বিএম কবিরুল হক মুক্তিকে নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় অবস্থান করার জন্য চিঠি দিয়েছে ইসি। কিন্তু তিনি এলাকায় অবস্থান করলে নির্বাচন বন্ধ করা হয়নি। শুধু চিঠি দিয়েই দায় সেরেছে ইসি। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া এক গোয়েন্দা প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

এ ব্যাপারে ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান শনিবার টেলিফোনে বলেন, আমরা অনেক অভিযোগ পাই, এটা সত্য। কিন্তু পরে দেখা যায় এসব অভিযোগের সত্যতা নেই। তাই সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যায় না।

জানা গেছে, শনিবার নড়াইল-১ আসনের এমপিকে ‘কড়া’ নোটিশ দেয়া হয়েছে বলে জানান ইসির যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান। আগামীকাল রোববার তৃতীয় ধাপে নড়াইলের কালিয়াসহ ১১৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

ইসির এ কর্মকর্তা জানান, এ সাংসদকে এক দফা সতর্ক করা হয়েছিল। তারপরও এলাকায় অবস্থান করার তথ্য পাওয়া গেছে। উপজেলা নির্বাচনে এমপিদের প্রভাব বন্ধ করতে মার্চের প্রথম সপ্তাহে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকেও চিঠি দিয়েছিল ইসি। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।

এ বিষয়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ইসির চিঠি পাওয়ার পর প্রত্যেক এমপিকে সতর্ক করা হয়েছে। তাদের সবারই আইন মানা উচিত। কেউ যদি আইন না মানে তাহলে ইসি আইন অনুযায়ী জরিমানা ও নির্বাচন স্থগিত করতে পারে।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে অনেক অভিযোগ পাওয়া গেলেও এ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন অন্তত ১৩ জন সাংসদকে এলাকা ছাড়ার নোটিশ দিয়েছে। এর মধ্যে দুই জনকে ভোট বন্ধ করে দেয়ার হুমকি ও মন্ত্রীর এক এপিএসের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশনা দেয়া হয়। কিন্তু তাদের অনেকেই এলাকায় ছিলেন। তবে স্থান পরিবর্তন করেছে অনেক এমপি।

নড়াইল জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রাজু আহমেদ বলেন, একবার সতর্ক করার পরও শনিবার প্রথম প্রহর পর্যন্ত নড়াইল-১ আসনের সাংসদ কালিয়া পৌরসভায় দ্বিতীয় তলায় অবস্থান করার গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছে ইসি। চূড়ান্ত সতর্ক করার পর তিনি এখন কোথায় আছেন জানি না। আমরা নজর রাখছি।

সাংসদকে দেয়া চিঠিতে বলা হয়, যেহেতু আপনি নিয়ম বহির্ভূতভাবে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন, তাই আপনাকে নড়াইল-১ (কালিয়া) নির্বাচনী এলাকা ত্যাগ করার জন্যে ইসি নির্দেশনা দিয়েছে। আপনার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কারণে নির্বাচন বন্ধ হলে এ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পরিচালনার জন্যে ইসি তথা সরকারের যে আর্থিক ব্যয় হবে, পরবর্তীতে তার দায় আপনাকে নিরূপণ করা হবে।

এ বিষয়ে সাংসদ কবিরুল হক বলেন, আমার বিরুদ্ধে এটা অপপ্রচার। আমি তো এখন এলাকাছাড়া। কালিয়া ছাড়ার জন্যে নোটিশ পাওয়ার পরই রাত ১২টার পরে চলে আসি। এলাকার বাইরে থাকায় ভোট বন্ধ করার তো দরকার পড়ছে না।

বারবার আচরণবিধি লঙ্ঘন করলেও মঙ্গলবার নরসিংদী-৫ আসনের এমপি রাজিউদ্দিন আহমেদকে আবার সতর্কীকরণ নোটিশ দেয়া হয়। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি ইসি।

জানা গেছে, এ নিয়ে ১৪ জন এমপিকে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসি। তারা হলেন- কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের সরকার দলীয় মো. আফজাল হোসেন, সাংসদ রাজবাড়ী-২ আসনের মো. জিল্লুল হাকিম, গাইবান্ধা-৫ আসনের ফজলে রাব্বি মিয়া, কক্সবাজার-৩ আসনের সাইমুম সরওয়ার কমল, সুনামগঞ্জ-২ আসনের জয়া সেন গুপ্ত, কুড়িগ্রাম-৩ আসনের এম এ মতিন, হবিগঞ্জ-৩ আসনের মো. আবু জাহির, কুড়িগ্রাম-১ আসনের আছলাম হোসেন সওদাগর, সুনামগঞ্জ-১ আসনের মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, লালমনিরহাট-১ আসনের মোতাহার হোসেন, রাজশাহী-১ আসনের ওমর ফারুক চৌধুরী, নাটোর-৪ আসনের আব্দুল কুদ্দুস ও নেত্রকোণা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল।

ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের দাবি, তৃতীয় ধাপে আইন অমান্য করে প্রচারে অংশ না নেয়ার জন্য তিনজন সংসদ সসদস্যকে সতর্ক করে চিঠি দেয়া হয়েছে। তারাও আইনের প্রতি সম্মান দেখিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই নির্বাচিত এলাকা ত্যাগ করেছেন। তাই অন্য কোনো অ্যাকশনে আমাদের যেতে হয়নি।

প্রসঙ্গত, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আচরণবিধি অনুযায়ী, সরকারি সুবিধাভোগী গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারেন না। সংসদ সদস্যরা সরকারি সুবিধাভোগী গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির তালিকায় আছেন। সে হিসেবে তারাও নির্বাচনের প্রচারে অংশ নিতে পারেন না।

সূত্র : জাগো নিউজ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়