মো. আল-আমিন: পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডঃ সুলতান আহমেদ বলেছেন, আমাদের নদীগুলোর দূষণ এখন অনেক বড় সমস্যা। এর জন্য অনেকগুলো মন্ত্রনালয় মিলে একটা মাস্টার প্লান চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে।
নিউজ২৪ এর ‘জনতন্ত্র গণতন্ত্র’ আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, নানাবিধ কারণে আমাদের ভূর্গভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। কৃষিকাজে ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারের পর থেকে আমাদের সেই পানির স্তরটা স্থিতিশীল নেই। এটা উঠা-নামা করছে।
আমাদের ন্যাশনাল সাসটেইনএবল স্ট্রাট্রিজি ২০১৩সহ অন্যান্য আইন ও রির্পোট সর্বত্রই বলা হচ্ছে কিভাবে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমিয়ে উপরের স্তরের পানির ব্যবহার বাড়ানো যায়। ঢাকা শহরে জন্য প্রায় দুই কোটি মানুষের সুপেয় পানি প্রয়োজন। এর মধ্যে এক কোটি মানুষের পানির চাহিদা পূরন করা হচ্ছে মেঘনা নদীর হারিয়া পয়েন্ট থেকে পানি সংগ্রহ করে ট্রিটমেন্ট প্লান্টের মাধ্যমে পরিশোধন করে।
তিনি বলেন, নদী দূষণ রোধে নৌ-পরিবহন মন্ত্রনালয় এবং বিআইডব্লিটি নদীকে অবৈধ দখল মুক্ত করতে অভিযান পরিচালনা করছে। এছাড়াও মাস্টার প্লান অনুযায়ী ঢাকা ওয়াসাকে একটি দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে ঢাকার সুয়ারেজ লাইনগুলোতে ট্রিটমেন্ট প্লান্টের ব্যবস্থা করা। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ দেয়া হবে সিটি কর্পোরেশনকে। নদীর তলদেশ থেকে দূষিত বর্জ্য উত্তোলনের কাজ করবে বিআইডব্লিউটিএ।
তিনি আরো বলেন, শিল্প ও পরিবেশ মন্ত্রনালয় পরিবেশ দূষণ রোধে একমত হয়েছে। শিল্প বর্জ্যকে কিভাবে পরিশোধন করে নদীতে ফেলা যায় তার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। শিল্প মালিকদের এ ব্যাপারে সচেতন করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :