রাশিদ রিয়ার : বিশ^খ্যাত ফ্যাশন প্রতিষ্ঠান ক্রিস্টিয়ান ডায়র প্রথমবারের মত মধ্যপ্রাচ্যে ফ্যাশন শো’র আয়োজনস্থল হিসেবে শুধু দুবাইয়ের সাফা পার্কেক বেছে নেয়নি বরং আমিরাতকে গ্লোবাল ফ্যাশন হাব হিসেবে গড়ে তোলার জন্যে সাহায্যের অঙ্গীকার করেছে। এ বছরের জানুয়ারিতে ক্রিস্টিয়ান ডায়র প্যারিসে ‘দুবাই শো’ নামেই এক ফ্যাশন শো’র আয়োজন করার পর এধরনের যৌথ উদ্যোগের গ্রহণযোগ্যত আরো বেড়ে যায়। মধ্যপ্রাচ্যের ক্রিস্টিয়ান ডায়র’এর ইসলামী ঐতিহ্যের পোশাক বিশেষ করে রকমারি আইকন বার জ্যাকেট দর্শকদের নজর কেড়েছে। আরব বিজনেস
এমনিতে গত কয়েক বছরে দুবাই আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফ্যাশন উদ্যোক্তাদের মিলন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন বিখ্যাত উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান, ডিজাইনার, স্টাইলিস্ট ও গ্লোবাল রিটেইল ব্রান্ডের শো’রুম হরহামেশা দুবাইতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছে। দুবাই ফেস্টিভালস এন্ড রিটেইল এস্টাবলিশমেন্ট’এর সিইও আহমেদ আল খাজা বলেন, ক্রিস্টিয়ান ডায়র বিশে^র নেতৃস্থানীয় ফ্যাশন হাউজ হিসেবে প্যারিসের পরই দুবাইকে বেছে নিয়েছে। আন্তর্জাতিক মানের বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজ দুবাইতে তাদের কর্মতৎপরতা বৃদ্ধির পেছনে পর্যটনের একটি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। কারণ দুবাইতে বিশে^র বিভিন্ন দেশের পর্যটকরা প্রতিনিয়ত আসছেন যাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে তৎপর হয়ে উঠেছে সেরা ফ্যাশন হাউজগুলো। ফলে এ বিষয়টি আমিরাতের পর্যটন খাতের জন্যেও ইতিবাচক হয়ে উঠেছে।
এদিকে ইউনেস্কো সম্প্রতি দুবাই শহরকে ‘ক্রিয়েটিভ সিটি অব ডিজাইন’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। বিশে^র ২৪টি দেশের মধ্যে দুবাই এদিক থেকে অন্যতম। ইতিমধ্যে দুবাইতে ফ্যাশন শিল্পের আয় পৌঁছেছে ৪৪ বিলিয়ন ডলারে। যা আগামী বছর ৩২৭ বিলিয়ন ডলারে বৃদ্ধি পাবে। ডলসি এন্ড গাবানা, টমি হিলফিজার, চ্যানেল, ডায়র, বস, বারবেরি’র মত বিশ^সেরা ফ্যাশন হাউজগুলো দুবাইতে ব্যবসা সম্প্রসারণ করেছে। দুবাই ডিজাইন ডিস্ট্রিক্ট বা ডি থ্রি নামে একটি সংগঠন এধরনের উদ্যোগে প্রধান ভূমিকা পালন করে আসছে। এ সংগঠনটি সম্প্রতি দুবাই ডিজাইন উইক’এর আয়োজন করে যা মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় ফ্যাশন শো হিসেবে পরিচিত পায়।
আপনার মতামত লিখুন :