নুর নাহার : ভারতের সঙ্গে নৌপথে বাণিজ্য বাড়াতে রাজশাহীতে গড়ে উঠছে আন্তর্জাতিক নৌবন্দর। এজন্য বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ উদ্যোগে পদ্মা নদীর নাব্য ফেরাতে শুরু হবে ড্রেজিং। এর আগেই সরকারি উদ্যোগে রাজশাহীতে ৬ কিলোমিটার এলাকায় শুরু হয়েছে ড্রেজিং কার্যক্রম। তাই এই নৌবন্দরকে ঘিরে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে ব্যবসায়ীমহলে। ডিবিসি টিভি
প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায় নাব্যতা ফেরাতে প্রথমবারের মত পদ্মায় ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নদী খনন শুরু হয়েছে। কারণ এর আগে নৌবন্দর স্থাপনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন সরকার। ৫৭ কোটি টাকায় সোনাইকান্দী থেকে পাঠানপাড়া পর্যন্ত ৬কিলোমিটার এলাকা ড্রেজিং করা হচ্ছে। এতে ২৬ লাখ ঘন মিটার মাটি খনন করা হবে।
ড্রেজার অপারেশন সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এম গোলাম সরওয়ার বলেন, মধ্য জুন পর্যন্ত আমরা এই নদীতে ড্রেজিং করতে পারবো। যতটুকু খনন করার কথা সেটি যদি সম্পন্নকরতে না পারি সেক্ষেত্রে অপেক্ষা করতে হবে।
সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ক্যাপিটাল ড্রেজিং করে যদি নদীর নাব্যতা আট থেকে দশ মাস ধরে রাখা যায়, তাহলে ভারত থেকে কাঁচামাল নিয়ে এসে শিল্পায়ন করা সম্ভব।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, রাজশাহীতে নদী বন্দর স্থাপন হলে ভারত থেকে সরাসরি নৌপথে কম খরচে কাঁচামাল আনা সম্ভব হবে।
রাজশাহী চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনি বলেন, শিল্পের কাঁচামাল আমরা যদি সড়ক পথে আনি, অনেক খরচ করতে হয়। কিন্তু এসব কাঁচামাল যদি নৌপথে আনা যায় তাহলে ২৫% কম খরচে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :