সালেহ্ বিপ্লব : ভারতের কর্ণাটকে কংগ্রেসের শীর্ষনেতাদের মধ্যে সম্পর্কটা খুব একটা সুবিধার নয়। আরো আগে থেকেই এ কলহের কথা চাউর হয়ে আসছে, আরো একবার তার প্রমাণ মিললো কর্ণাটকের বিধানসভার স্পিকার রমেশ কুমারের সাথে দলের আরেক সিনিয়র নেতা কে এইচ মুনিয়াপ্পার মধ্যে সাম্প্রতিক ‘হট‘ বাতচিত নিয়ে। মুনিয়াপ্পার এক কথার জের ধরে স্পিকার তাকে সমকামী বলে চিহ্নিত করেছেন। আর এই নিয়ে তুমুল হট্টগোল রাজ্যের সীমা ছাড়িয়ে কেন্দ্রের নাকেও সুড়সুড়ি দিয়েছে। এনডিটিভি
সম্প্রতি রমেশ কুমারের সঙ্গে সংঘাত নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মুনিয়াপ্পা বলেন, "আমরা স্বামী- স্ত্রীর মতো। আমাদের কোনও সংঘাত নেই"। উত্তরে রমেশ কুমার বলেন, "আমি পুরুষদের সঙ্গে সহবাস করি না। আমার একজন স্ত্রী আছেন। তাই মুনিয়াপ্পার আগ্রহ থাকতে পারে কিন্তু আমার নেই"। জানা গেছে, এমন আউলা মার্কা কথার জন্য মুনিয়াপ্পার বিরুদ্ধে শীর্ষ নেতাদের কাছে নালিশ করেছেন রমেশ কুমার।
মাস খানেক আগে কর্ণাটকের কোলার নামে একটি জায়গায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে রমেশ কুমার সম্পর্কে মন্তব্য করেন মুনিয়াপ্পা। লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকেই ভোটে লড়তে চান তিনি। রমেশ কুমারও কোলার এলাকার নেতা। দুজনের মধ্যে আগেও গোলমাল হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী কে হবেন তা নিয়েও সংঘাত আছে। সাত বারের সাংসদ মুনিয়াপ্পা এবারও প্রার্থী হতে পারেন বলে খবর। এ ব্যাপারে রমেশসহ অন্য কিছু নেতার আপত্তি আছে। নিজেদের আপত্তির কথা পার্টি হাইকমান্ডকেও জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি সাত বার সাংসদ থাকায় মুনিয়াপ্পার বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়া আছে। আর তাছাড়া সাংসদ নিজের পরিবারের সদস্যদের রাজনীতিতে সক্রিয় করতে চাইছেন। সেটা এই মুহূর্তে দলের পক্ষে ভাল নয়।
একটি অডিও টেপ ফাঁস হয়ে যায়। তাতে রমেশ কুমারের কণ্ঠস্বর আছে বলে অনেকে দাবি করেন। সে সময়ও তার মন্তব্য নিয়ে তুমুল সমালোচনা হয়। তিনি বলেছিলেন, "নিজেকে ধর্ষিতার মতো মনে হচ্ছিল। যারা ধর্ষণের শিকার হন তাঁদের বহু প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। আমাকেও সেভাবেই প্রশ্ন করা হচ্ছিলো।"।
কর্ণাটক কংগ্রেসের মধ্যে দ্বন্দ্ব নতুন কোনও বিষয় নয়। জনতা দল সেকুলারের সঙ্গে জোট সরকার চালানো কংগ্রেস, একাধিক বার দলীয় কলহের জন্য সমস্যায় পড়েছে। এখন দুই শীর্ষনেতার সুড়সুড়ি দেয়া বাক্যবাণে এই দ্বন্দ্ব কোথায় গিয়ে ঠেকে, তা দেখার অপেক্ষায় রাজ্যবাসী।
আপনার মতামত লিখুন :